অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে ৫৫৩টি রেলওয়ে স্টেশনে শিলান্যাস করা হয়, যা এই স্টেশনগুলিতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ পুনর্বিকশিত করা হবে। যেহেতু আমজনতার কাছে রেলওয়ে সহজ যাতায়াতের প্রধান পথ হয়ে উঠেছে, তাই যানজট হ্রাস করতে, সুরক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধি করতে, ক্ষমতা এবং রেল যাতায়াতের দক্ষতা উন্নত করতে ১৫০০ রোড ওভার ব্রিজ এবং আন্ডারপাস প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। উত্তর প্রদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গোমতি নগর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করেন। অভূতপূর্ব গতি ও কর্ম সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে নতুন যুগের ভারত এটিকেও বিশ্বমানের মানদণ্ডে গ্রহণ করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন – Health Tips: ডালের গুণ অনেক, কিন্তু এই ডাল রোজ খেলে কাজ করবে ‘বিষে’-র মতো, বুঝে খান
প্রধানমন্ত্রী খুশি প্রকাশ করে বলেন যে আগামী দিনে অমৃত ভারত স্টেশন বিকাশ ও উত্তরাধিকারের প্রতীক হয়ে উঠবে। বিগত ১০ বছরে বিকশিত ভারতের সৃষ্টি বিশেষভাবে রেলওয়েতে ফুটে উঠেছে। তাই ২০০০টি প্রকল্প একইসাথে চালু করা হলো, রেলওয়ে পরিকাঠামোর এক বিশাল রূপান্তরের সাক্ষী হলো ভারত।৫৫৩টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে আজ প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের গুরুত্বের উপর জোর দিতে আনুমানিক ৬৮৫.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩টি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্বিকাশের জন্য শিলান্যাস করেন। এই ২৩টি স্টেশনের মধ্যে অসমের ১১টি স্টেশন যথাক্রমে হয়বরগাঁও, গহপুর, হারমতি, মাজবাট, পাঠশালা, টংলা, ওদালগুড়ি, বিশ্বনাথ চারিআলি, মুর্কংসেলেক, নর্থ লখিমপুর ও সিলাপাথার, বিহারের ০৩টি যথাক্রমে আরারিয়া কোর্ট, লাভা, সালমারি এবং পশ্চিমবঙ্গের ০৬টি স্টেশন বালুরঘাট, ভালুকা রোড, হরিশ্চন্দ্রপুর, কুমেদপুর জং., মালদা কোর্ট এবং শিলিগুড়ি জং. এবং ত্রিপুরার আগরতলা, মিজোরামের সাইরাং এবং সিকিমের রংপো স্টেশন।
এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক ১১১.৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে ০৫টি রোড আন্ডার ব্রিজ, ০২টি রোড ওভার ব্রিজের শিলান্যাস এবং একটি আন্ডারপাস উৎসর্গ করেন। আন্ডারপাসগুলি বরগাঁও রোড, তাহুরা, ননকে বঙ্গালি এবং ধেমাজি বাড়িতে দুটি নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, ০২টি রোড ওভার ব্রিজ বিহারের বেলাউরি ও দাইচান গেটে নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, “২০৪৭-এর উন্নত দেশ ও উন্নত রেলওয়” থিমের অধীনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিভিন্ন স্থানে ১০০০ জন স্কুল পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করা হয়।ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য শুধুমাত্র পরিবহণের একটি ব্যবস্থা নয়, বরং এর পাশাপাশি দেশের কৃষি ও শিল্পের অগ্রগতির জন্য সর্ববৃহৎ পণ্য পরিবাহীও। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মতো নতুন নতুন অঞ্চলে নতুন লাইন স্থাপন এবং রেল সংযোগের কাজ গ্রহণের গতি দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং ২,৫০০ কিমি ডেডিকেটেড পণ্য করিডোর দেশের মধ্যে কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সংযোগ সৃষ্টিকে উৎসাহিত করবে। পরিকাঠামোর তৈরিতে ব্যয় করা প্রত্যেকটি পয়সা উপার্জনের নতুন উৎস এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
Abir Ghosal