অসমের পর গোটা দেশ জুড়েই সারা দেশে এনআরসি চালুর দাবি বরাবরই জানিয়ে আসছে বিজেপি সরকার ৷ বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায় শোনা গেল একই দাবি ৷ অনুপ্রবেশ বিতারণ ইস্যুতে তিনি এদিন বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি প্রতিটি কোণা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে চিহ্নিত করা হবে ৷ তাদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে৷’ একইসঙ্গে শাহ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়াবে সরকার ৷ অমিত শাহের সুরে লোকসভাই একই দাবি রাজনাথ সিংয়ের ৷ তিনি বলেন, দেশে অবৈধভাবে থাকছেন যারা তাদের ফেরত পাঠানো হবে ৷
advertisement
ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন্স অর্থাৎ NRC মানে এটি রাজ্যের বৈধ নাগরিকদের তালিকা ৷ প্রথমবার এই তালিকা তৈরি হয় ১৯৫১ সালে ৷ ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই তালিকা নবীকরণের কাজ শুরু হয় ৷ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে অসমে আসা ব্যক্তি ও তাঁদের বংশধরদের নামই এনআরসিতে উঠবে বলে জানানো হয় ৷ ২০১৫ সালে এনআরসি নবীকরণের কাজ শুরু হয় ৷ কয়েক দফায় তারিখ পিছোনোর পরে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম খসড়া প্রকাশিত হয় ৷ দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয় ৩০ জুলাই, ২০১৮ ৷
এই দ্বিতীয় তালিকায় ৪০ লক্ষের নাম ওঠেনি। আফগানিস্তান, ইরাক বা সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ নেই। অথচ, কলমের খোঁচায় আচমকাই নাগরিকত্ব হারানোর মুখে ৪০ লক্ষ মানুষ। অসমের খসড়া নাগরিকপঞ্জি-তে ৪০ লাখ মানুষের নামের পাশে লালকালির দাগ ৷ নাগরিক পঞ্জিতে নাম তোলার জন্য আবেদন করেন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ ৷ তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ মানুষের নাম ৷ বাকিরা যাবেন কোথায়? ঘিরে ধরছে অনিশ্চয়তা আর দেশছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। অসমে পয়লা অগস্ট আসতে চলেছে চুড়ান্ত এনআরসি তালিকা ৷