যদিও অমিত শাহ বলেছেন, এই বিষয়টি আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা তাঁর পক্ষে উপযুক্ত হবে না। অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মন্তব্য করা আমার পক্ষে ঠিক নয়। তবে এতে বিজেপির লুকানোর কিছু নেই এবং ভয় পাওয়ারও কিছু নেই।’’
সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গ একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি একযোগে আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা এই পক্ষপাত এবং স্বজনপোষণ দোষে দুষ্ট পুঁজিবাদের অভিযোগ এই মুহূর্তে ভারতে সব থেকে বড় রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণেই ধনাগম, এই তিন রাশির জাতক-জাতিকারা দেখতে চলেছেন টাকার মুখ!
এই ইস্যুতে বাজেট অধিবেশনে ঝড় উঠেছিল সংসদে। বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তোলে, কিন্তু বিজেপি এই বিষয়টিকে ক্রমাগত এড়িয়ে যায়। আদানি গোষ্ঠী-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী নেতাদের বারবার সরব হন সংসদের উভয় কক্ষে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যসভা এবং লোকসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে ‘প্রতিষ্ঠান দখল’ করে নেওয়ার অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানান, আদালত বিজেপি-র প্রভাবাধীন নয়, ফলে বিরোধীদের উচিত আদালতে যাওয়া উচিত। সংবাদ সংস্থা এএনআই শাহকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আদালত আমাদের কুক্ষিগত নয়।’
আরও পড়ুন- সুকান্ত-রাজ্যপাল বৈঠকের পরই কড়া রাজভবন! মানতে নারাজ বঙ্গ বিজেপি
অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা কেন আদালতে যায় না? এমনকী যখন পেগাসাস ইস্যুটি উত্থাপিত হয়েছিল, তখনও আমি বলেছিলাম প্রমাণ নিয়ে আদালতে যান... বিরোধীরা কেবল চিৎকার করতে জানেন। সে বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, আদালত পেগাসাস ইস্যুকে বিচারের জন্য গ্রহণ করে, রায়ও দেয়। তদন্তও করা হয়েছিল।’
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট এবং বিবিসি ডকুমেন্টারির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না জানতে চাইলে অমিত শাহ বলেন, ‘‘হাজার ষড়যন্ত্রও সত্যের ক্ষতি করতে পারে না। সত্য সূর্যের মতো উজ্জ্বল। বিরোধীরা ২০০২ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে এবং প্রতিবার, তিনি তাঁর সততার বলে আরও বলিয়ান হয়ে উঠেছেন, প্রতিবার মানুষের মধ্যে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করে আবির্ভূত হয়েছেন।’’