অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন বিজেপি রাজ্য সরকার গঠন করতে চলেছে দুই রাজ্যেই। ওড়িশা, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বিজেপির সাম্প্রতিক নির্বাচনী জয়ের পর অক্সিজেন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। আর সেই আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে শাহের প্রতিশ্রুতি, “আমরাই আগামী বছর তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করতে চলেছি।”
advertisement
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মাদুরাইয়ে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ স্ট্যালিনকে কটাক্ষ করে বলেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, তিনি সত্যিই ডিএমকেকে হারাতে পারবেন না। কারণ, তামিলনাড়ুর জনগণই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে ডিএমকেকে হারিয়ে দেবে। শাহের দাবি, “২০২৬ সালে এখানে বিজেপি-এআইএডিএমকে জোটের এনডিএ সরকার গঠিত হবে। আমি দিল্লিতে থাকি, কিন্তু আমার কান সবসময় তামিলনাড়ুর দিকে। এমকে স্ট্যালিন সম্প্রতি বলেছেন যে অমিত শাহ ডিএমকেকে হারাতে পারবেন না। তিনি ঠিকই বলেছেন। আমি নই, তামিলনাড়ুর জনগণই আপনাকে হারাবে।”
বাংলায় ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে পহেলগাঁও কাণ্ড এবং ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসেছেন গত সপ্তাহেই। আলিপুরদুয়ারে সভা থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাকও দিয়েছেন। সেই আবহে ফের বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি এবার অমিত শাহের কণ্ঠে।
পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এসবই ওঁদের দিবাস্বপ্ন। এই কথাগুলো তো উনি ২০২১ সাল থেকে বলে যাচ্ছেন। উনি একবার করে বিজেপি কর্মীদের এ রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তার পরে গোহারা হারেন।’’ অন্যদিকে শাহের কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে ডিএমকে। দলের মুখপাত্র সৈয়দ হাফিজুল্লা বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপি হয়ত আমেরিকাতেও সরকার গড়তে পারবে। কিন্তু তামিলনাড়ুতে তার কোনও সম্ভাবনাই নেই অদূর ভবিষ্যতে।’’