আরও পড়ুন- কত মাইনে পাবেন অগ্নিবীররা? বিক্ষোভের মধ্যেই ঢালাও আবেদন চাকরি প্রার্থীদের
আইএএনএসকে মণীশ তিওয়ারি জানান, ১৯৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর সঠিক পরিমাপ সহ প্রতিরক্ষা সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডোনাল্ড রামসফেল্ড ফোর্ড তখন প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন এবং প্রতিটি পরবর্তী প্রশাসন বিষয়টি দেখেছে। “রামসফেল্ড সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার ধারণাগত ভিত্তির সূচনা করেছিলেন কারণ তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তিত পরিস্থিতির ধারণা করতে পারেন। এমনকি চিনও ১৯৮৫ সালের দিকে পিএলএ-র সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল,” বলেন মণীশ।
advertisement
“১৯৮৫ সালে PLA এর আকার কমিয়ে ১০ লাখ হয়; ১৯৯৭ সালে ৫ লাখ; ২০০৩ সালে দু’ লাখ; ২০১৫ সালে তিন লাখ, এবং ২০১৭ থেকে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বাড়িয়ে ফের ২০ থেকে ১০ লাখ করা হচ্ছে,” বলেন মণীশ।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভ, হিংসার মধ্যেই অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন করলেন প্রায় ৫৭,০০০ 'অগ্নিবীর'!
মণীশ তিওয়ারি তাঁর বই ‘10 Flashpoints 20 Years’-এ উল্লেখ করেছেন কেন দেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা সংস্কার প্রয়োজন। ভারতে প্রতিরক্ষায় ব্যয় করা প্রতি টাকার মধ্যে ২৫ পয়সা মাত্র পেনশনে যায়। “সরকার যে সংস্কারগুলি এখন বাস্তবায়িত করছে তা ১৯৯৯ সালে কার্গিল পর্যালোচনা কমিটি (KRC) সুপারিশ করেছিল,” বলেন মণীশ।
মণীশ তিওয়ারির মন্তব্য অগ্নিপথ আন্দোলনে কংগ্রেসের অবস্থানের বিপরীত। গত সপ্তাহেই মণীশ একটি ট্যুইটে বলেন, “আমি যুবকদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করি যারা অগ্নিপথ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বাস্তবতা হল ভারতের একটি তরুণ সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজন, যেখানে প্রযুক্তি রয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রোগ্রাম হওয়া উচিত নয়।”