বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্ম ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল। দরিদ্র দলিত মাহার সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই দেশনায়ক। দলিতদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন আম্বেদকর। দলিত এবং অস্পৃশ্য বলে সমাজের একস্তরের মানুষকে দাগিয়ে দিয়ে তাঁদের সমস্ত সুযোগ ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাখার ঘটনা সেই সময়েও ছিল, আজও রঙ বদলে বদলে তা টিকে রয়েছে। ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যেই পালিত হয় ভীম জয়ন্তী। দিনটি দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রতিফলন এবং তাতে দলিতদের ভূমিকার কথা আরও একবার স্মরণ করার উপলক্ষ্য।
advertisement
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঠাঁই নেই: রামনবমীর মিছিলে হিংসা বিষয়ে দাবি যোগীর
ইতিহাস
জনার্দন সদাশিব রানাপিসে ১৯২৮ সালে প্রথম ভীম জয়ন্তী পালন করেন এবং ২৫ টিরও বেশি ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভীমরাও আম্বেদকর দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই শৈশবে বৈষম্যের সম্মুখীন হন। স্কুলে পঠনপাঠন শেষ করার পর তিনি বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন এই কৃতী হন। ভারতের বর্ণ ভিত্তিক সমাজকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দেশে সমতা দিবস পালিত হয়।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! রোপওয়ে দুর্ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পার, এখনও মাঝ আকাশে ঝুলে মানুষ! দেখুন ছবি
তাৎপর্য
আম্বেদকর জয়ন্তীতে, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি সহ দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা সংসদে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান। বি আর আম্বেদকরের জীবনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রার ডাক দেয়। আলোচনা সভা ও নাটক আয়োজন করে অনেক সংগঠনই। দলিত ও অস্পৃশ্যদের উন্নয়নে বাবাসাহেবের অবদানকে স্মরণ করে ভীম জয়ন্তী পালনে বড় ভূমিকা নেন দলিত, আদিবাসী এবং শ্রমিকরাও। বর্তমান ভারতে দলিতদের অবস্থান ও দলিত নির্যাতনের ঘটনা বারেবারেই এই দিনটি এবং এই মানুষটির প্রাসঙ্গিকতার কাছে এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে নাগরিকদের।