আরও পড়ুন- এবার বদলে যেতে চলেছে লখনউয়ের নাম? নতুন নাম নিয়ে যোগীর ট্যুইটে শুরু জোর জল্পনা!
ম্যারাথন মিটিং চলাকালীন অমিত শাহ জানান, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের অগ্রাধিকার হল তীর্থযাত্রীদের দর্শনে সহজ প্রবেশাধিকার। যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, জল, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য পরিষেবাসহ প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি।
advertisement
অমিত শাহের নির্দেশ, যাতায়াতের রাস্তা সম্পর্কে ভালো যোগাযোগ ও তথ্য প্রচারের জন্য মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ভূমিধসের ক্ষেত্রে অবিলম্বে রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য মেশিন মোতায়েন করারও নির্দেশও দেন তিনি। ৬,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় মিলবে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মেডিকেল শয্যা। জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স এবং হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রা চলাকালীন সকল শ্রেণির পরিবহণ পরিষেবা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল, সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের থেকে টিউশন ফি নেওয়া যাবে না: স্কুলকে নির্দেশ এই সরকারের
এই বছর প্রায় তিন লাখ তীর্থযাত্রী তীর্থযাত্রায় অংশ নেবেন। ১১ অগাস্ট এই যাত্রা শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি তীর্থযাত্রী তাঁদের চলাচল এবং নিরাপত্তা নিরীক্ষণের জন্য একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) ট্যাগ পাবেন। আগে শুধু তীর্থযাত্রীদের গাড়িতেই আরএফআইডি ট্যাগ দেওয়া হতো।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ছাড়াও প্রায় ১২,০০০ আধাসামরিক কর্মী (১২০ কোম্পানি) দু’টি তীর্থযাত্রার পথে, একটি পহেলগাঁও থেকে এবং অন্যটি বালতাল হয়ে, মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হবে।