আরও পড়ুন- কাঁটা বাছতে হবে বলে মাছ খেতে ইচ্ছে করে না ? সহজ উপায় বলে দিলেন শেখ হাসিনা
কিন্তু পরবর্তীতে ওই অপরাধী স্বীকার করে যে, খুন করতে গিয়ে তার একবারও হাত কাঁপেনি। সে না কি সকলকেই খুব সহজে হত্যা করেছিল।
অমরজিতের হত্যাতালিকায় নাম ছিল তার নিজেরই দুই আত্মীয়ের। এর মধ্যে একজনের বয়স ছয় বছর এবং অন্যজন তার নিজের আট মাস বয়সী বোন। এই দু'জন ছাড়াও অমরজিৎ প্রতিবেশীর ছয় মাসের মেয়েকেও হত্যা করেছিল। খুশবু ছিল তার সবচেয়ে কম বয়স্ক শিকার। খুশবুকে পাথর মেরে হত্যা করেছিল অমরজিৎ। অবশ্য খুশবুকে খুনের কথা তার মায়ের সামনেই স্বীকার করেছিল অমরজিৎ সাদা। এর পরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেখানে মেন্টাল এক্সপার্টরা কেস স্টাডি করে তার ব্যাপারে অনেক কিছু জানিয়েছেন।
advertisement
গ্রেফতার হওয়ার সময় অমরজিৎ সাদার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। তার জন্ম ১৯৯৮ সালে। পরিবারের দুই সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশীর মেয়েকে হত্যা করার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যেই সে পর পর তিনটি খুন করে। তখন তার বয়স ছিল সাত থেকে আটের মধ্যে। দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বয়সে তিনটি খুনের কারণে অমরজিৎ সাদার নাম বিশ্বের কনিষ্ঠতম সিরিয়াল কিলারের তালিকায় উঠে এসেছে।
ভারতের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সের আগে সংঘটিত অপরাধের জন্য কোনও নাবালককে শাস্তি দেওয়া যায় না। এই কারণে অমরজিৎ সাদাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে খালাস পেয়েছে অমরজিৎ সাদা। বর্তমানে এই সিরিয়াল কিলার এখন কোথায় তা কেউ জানেন না। অমরজিৎ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, সে যখন কাউকে হত্যা করত তখন তার কষ্ট দেখতে খুব ভাল লাগত। রক্তপাত দেখা ছাড়া তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।