আলিগড়, উত্তর প্রদেশ: আজকালকার দিনে শহরগুলিতে বেশ রাজকীয় এবং জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান দেখা যায়। সেরকমই এক বিয়ের অনুষ্ঠানের সাক্ষী রইল উত্তর প্রদেশের আলিগড় শহর। আর এর ফলে দুই প্রভাবশালী এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের মধ্যে গড়ে উঠল বৈবাহিক সম্পর্ক। এই বিয়ে প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, বর প্রতিরক্ষা সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে কনে আবার রাজনৈতিক পরিবারের এক সম্ভাবনাময়ী কন্যে। বলা ভাল, উঠতি রাজনীতিবিদ তিনি। এহেন হেভিওয়েট বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির জাতীয় প্রেসিডেন্ট এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বর-কনেকে আশীর্বাদও করেন। আর অখিলেশ যাদবের উপস্থিতিতে বিয়ের জৌলুস যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
advertisement
কিন্তু কারা এই বর-কনে? কনের নাম হল নাশি খান। তিনি সাহাওয়ার এলাকার সমাজবাদী পার্টির চেয়ারপার্সন। এখানেই শেষ নয়, কাসগঞ্জে পাটিয়ালি থেকে বিধায়ক পদে আসীন রয়েছেন কনের মা জিনাত খান। অন্যদিকে বর সমীর খান রয়েছেন প্রতিরক্ষা সেক্টরে। তিনি সিনিয়র পদ (আইএএস ক্যাডার)-এ রয়েছেন। সমীর আদতে এলাহাবাদের বাসিন্দা। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ শেষ করেছেন।
পড়াশোনা এবং পেশা: কনে নাশি খান আবার এটাহ-র একটি কনভেন্ট স্কুল থেকে দশম শ্রেণী পাশ করেছেন। এরপর আলিগড় থেকেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ সম্পন্ন করেন। এরপর আইনের পাঠ সম্পন্ন করেন নাশি। এমনকী রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও নিজের পড়াশোনা ছাড়েননি। বরং আইনের পাঠ শেষ করেছেন। ফলে পেশায় কিন্তু তিনি আইনজীবীও বটে!
পরিবারের পছন্দেই বিয়ে: নাশির তুতো-বোন অনুষা খান বলেন যে, এটা সম্পূর্ণ দেখাশোনা করে বিয়ে। পরিবারের গুরুজনেরাই এই বিয়ে পাকা করেছিলেন। এমনকী, পরিবারের গুরুজনদের সম্মতি নিয়েই বর-কনে বিয়ের আগে দেখাও করেন। তিনি বলেন যে, দু’জনেরই পেশা আলাদা। কিন্তু ঈশ্বরই তাঁদের সুন্দর জুটিটা তৈরি করেছেন।
রীতিমতো রাজকীয় কায়দায় বিয়ে: আলিগড়ের গোল্ডেন স্টোন রিসর্টে বসেছিল নাশি আর সমীরের বিয়ের আসর। গোটা রিসর্টটিকে খুবই সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। রাজনীতির জগতের তাবড় এবং দুঁদে নেতা এবং ভিআইপি অতিথিরা এই রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কনের বোন অনুষা খান বলেন যে, নতুন সম্পর্ক নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন বর-কনে দুজনেই। নববিবাহিত দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি আর আগামী জীবনে তাঁদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্যও কামনা করেন।