রবিবার সকালেই বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত পাওয়ার। সূত্রের খবর শরদ পাওয়ার এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানতেন না। নেতা-বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবল। শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও সেই বৈঠকে ছিলেন। রবিবার দুপুরেই রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত। জানা যাচ্ছে, অজিতের সঙ্গে রয়েছেন এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩০ জন।
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছেড়ে বায়রন বিশ্বাস কেন তৃণমূলে? ‘ফাঁস’ করলেন তৃণমূল বিধায়ক! তুমুল বিতর্ক
সম্প্রতি এনসিপি সভাপতির পদ ছেড়েছেন শরদ পাওয়ার৷ তবে তিনি পুরোপুরি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি৷
আরও পড়ুন: অভিষেকের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই… রবিবার তুমুল চমক দেবেন শুভেন্দু! কী করতে চলেছেন?
১৯৯৯ সালে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি-র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাওয়ার৷ বেশ কিছুদিন ধরেই ভাইপো অজিতের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের সংঘাতের খবর সামনে আসছিল৷ শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের পরেও অজিতের বিজেপি-তে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রকট হয় ৷ সম্ভাবনা উসকে শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছিলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজনীতির আঙিনায় বিস্ফোরক দুটি ঘটনা ঘটবে৷’ সুপ্রিয়ার দাবি ছিল, এর একটি ঘটবে দিল্লিতে, অন্যটি মহারাষ্ট্রে৷ এ দিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আবার হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন, সত্যিই যদি অজিত পাওয়ার এনসিপি ভেঙে বিজেপি-তে যোগ দেন, তাহলে তিনি বিজেপি-র সঙ্গে থাকা জোট সরকার ভেঙে বেরিয়ে আসবেন৷ শেষপর্যন্ত অজিতের ‘বিদ্রোহে’র পরই এনসিপির ফাটল স্পষ্ট হল।