তবে, টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান পরিষেবা গেলেও, মূল সম্পদের বাইরে থাকা সম্পদগুলি এই লেনদেনের বাইরে থাকছে। তার মধ্যে রয়েছে জমি এবং ভবনগুলি, যার বর্তমান মূল্য ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। সরকারি সংস্থা এআইএইচএলের বা এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেডের হাতে যাবে সেই সমস্ত মূল সম্পদের বাইরে থাকা সম্পত্তি। গত ২০২০ এর ডিসেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে কেন্দ্রীয় সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন : জাতীয় পতাকা জামায়, মাস্কে! অবমাননার অভিযোগে 'বয়কট অ্যামাজন' ট্রেন্ডিং ট্যুইটারে
এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণ এই মুহুর্তে ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই বিমান সংস্থা চালাতে দৈনিক খরচ ২০ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ থেকে ৫৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা এয়ার ইন্ডিয়ার ঢেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিমান সংস্থাটির জন্য গ্যারান্টি সাপোর্ট হিসেবে ঢেলেছে ৫৫ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের মোট বিনিয়োগ ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। ৩১ অগাস্টের হিসেব অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণের পরিমাণ ৬১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে টাটা গোষ্ঠী। বাকি ৪৬ হাজার ২৬২ কোটি টাকার ঋণ চলে যাবে স্পেশাল পার্পস ভেহিকেল বা এসপিভিতে।
উল্লেখ্য, ঠিক ছিল জানুয়ারি মাসের মধ্যে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই বিমানসংস্থার সম্পূর্ণ পরিচালন ভার। বিমান সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুত ক্লোজিং ব্যালান্স শিট চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে— এই বার্তা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। এর পর সেই ব্যালান্স শিট টাটা গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে। তারা পর্যালোচনা করে ফেরত পাঠানোর পরই ব্যালান্স শিট চূড়ান্ত করা হবে এবং বিমান সংস্থার পরিচালন ভার তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।