তবে কি সে জানত, এমন হবে? এই ভিডিও যে করেছে সে কি অপেক্ষা করছিল প্লেন ভেঙে পড়ার? এমন নানা প্রশ্ন এবং কৌতূহল সেই থেকেই মানুষের মনে ঘুরছে। যদিও আপনার মনেও একই প্রশ্ন থাকে, তাহলে জেনে নিন যা ভাবছেন, তা নয়। জানলে চমকে যাবেন, আসলে কী হয়েছিল!
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
advertisement
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও তোলা ১৭ বছর বয়সি ছেলেটি কে? কেন তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেল পুলিশ?
উত্তর গুজরাতের ইদারের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সি আরিয়ান, প্রথমবারের জন্য আহমদাবাদ এসেছিল বই কিনতে। সেখানেই নিজের বাবার ভাড়া বাড়ির ছাদ থেকে হঠাৎ একটি বিমানকে খুব কাছ দিয়ে যেতে দেখে মোবাইলে ভিডিও করা শুরু করে। তখন সে বুঝতেও পারেনি যে সামনেই ঘটে যাবে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ভিডিও তোলার মাত্র ২৪ সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আরিয়ান ভীষণ ভয়ে পেয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে আরিয়ানের দিদি সেই ভিডিওটি দেখেন। পরে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে শনিবার পুলিশকে তিনি বিষয়টি জানান। সেই দিন দুপুরে গাইকোয়াড় হাভেলি থানার কিছু পুলিশকর্মী আহমদাবাদের মেঘনানি নগরের ওই বাড়িতে যান এবং আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সঙ্গে নিয়ে আসেন।
আরিয়ান জানায়, সে বাড়ির কাছেই ছাদে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিল। তার ধারণাই ছিল না, এত দ্রুত এমন দুর্ঘটনা ঘটবে। সে বলে— “আমি ভিডিও করছিলাম, মাত্র ২৪ সেকেন্ডের মাথায় প্লেনটা ভেঙে পড়ে। যা দেখেছি তাতে আমি খুব ভয় পেয়েছি। ভিডিওটা প্রথমে আমার দিদি দেখে।”
আরিয়ানের পরিবার সম্পর্কে জানা যায়, সে তার মা ও দিদির সঙ্গে ইদারে থাকে। তার বাবা আহমদাবাদে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আগে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন, এখন গাড়ি চালান। বাড়ির মালিক কৈলাশবেন জানান, “যখন পুলিশ এসে হাজির হয়, আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। ওরা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করছিল, কিভাবে সে ভিডিওটা তুলল।”
পরে আহমদাবাদ পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়নি, শুধুমাত্র তদন্তের স্বার্থে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বাবা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তবে আর্যনের দিদি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর আর্যন এখনও মানসিক চাপে রয়েছে, খুব ভয় পেয়েছে এবং আর আহমদাবাদে থাকতে চাইছে না।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থা এসে পৌঁছনোর পর পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে, মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষ ও মিডিয়ার তরফ থেকে ক্রমাগত ভিডিও ও ছবি তোলা হচ্ছিল, তবে এখন এই ধরনের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সুবিধার্থে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
