পেশায় নির্মাণ ব্যবসায়ী রাজু জানান, প্রথম ১৫-২০ মিনিট ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়াও কঠিন ছিল, কিন্তু হাল ছাড়েনি তার দল। স্ট্রেচার না থাকায় শাড়ি-চাদরের সাহায্যে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হাতের কাছে যা ছিল তা দিয়েই আহতদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। দমকল ও ১০৮টি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পটেল ও তাঁর দল উদ্ধারকাজে নামে।
advertisement
প্যাটেল জানান, পোড়া ব্যাগ, ভাঙা জিনিসপত্র এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র ঘটনাস্থল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। উদ্ধারকাজে থাকা তাঁর দল ৭০ তোলা সোনার গয়না, নগদ ৮০ হাজার টাকা, বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট ছাড়াও একটি জিনিস উদ্ধার করে, সেটি আর কিছুই নয় ‘ভগবত গীতা’। সেই সমস্ত জিনিসপত্র তৎক্ষণাৎ পুলিশের হাতে দিয়ে দেন তাঁরা।
পটেল এবং তার সহযোগীরা সেদিন রাত ন’টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। প্রশাসন, পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স না আসা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া জীবিতদের সন্ধান করেছেন সকলে মিলে। তবে এটাই প্রথমবার নয়, পটেল এর আগে ২০০৮ সালে আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সময় ত্রাণ কাজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “যখন বিস্ফোরণ হয় তখন সিভিল হাসপাতাল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ছিলাম। কিন্তু এবারের ধ্বংসযজ্ঞ, আগুন আর আর্তনাদ… আমি কোনওদিন ভুলব না।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ পটেল এবং তাঁর দলকে “সত্যিকারের নায়ক” হিসাবে প্রশংসা করছেন। বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনও তার সাহসিকতার প্রশংসা করেছে এবং ভবিষ্যতে তাকে জরুরি পরিষেবায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই ধরনের সংকটে নাগরিকদের ভূমিকা অমূল্য এবং রাজু পটেল মতো মানুষেরা সমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।