সফল উৎক্ষেপণের পরে ভারতের ডিফেন্, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO), স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কম্যান্ড (SFC) এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
এই সফল উৎক্ষেপণের অর্থ হল ভারত এখন কেবল স্থলভাগের সাইলো, সড়ক-ভিত্তিক ক্যানিস্টার, বিমান এবং সাবমেরিন থেকে নয়, বরং তার বিশাল রেলওয়ে গ্রিড থেকেও পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারবে।
advertisement
অগ্নি প্রাইম মিসাইল কী?
অগ্নি প্রাইম, এটি অগ্নি-পি নামেও পরিচিত, ভারতের অগ্নি সিরিজের ষষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি একটি দ্বি-পর্যায়ের, সলিড-প্রোপেল্যান্ট ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত৷ অর্থাৎ, এটি পাকিস্তান এবং চিনের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি ক্যানিস্টারাইজড, অর্থাৎ, এটি একটি সিল করা লঞ্চ টিউবে সংরক্ষণ এবং পরিবহণ করা হয়। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি তার ওয়ারহেডের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে৷
এখনও পর্যন্ত, অগ্নি প্রাইম রোড-মোবাইল ট্রাক লঞ্চারে মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পরীক্ষাটি রেল-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে করা হল।
রেল-ভিত্তিক লঞ্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রেল-ভিত্তিক লঞ্চ গোটা বিষয়টাকে কৌশলগত দিক থেকে অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে৷ ভারতের রেল নেটওয়ার্ক, যা প্রায় ৭০,০০০ কিলোমিটার ট্র্যাক সহ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম, সেই রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এটি দেশের যে কোনও প্রান্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে ও ব্যবহার করা যেতে পারে৷ নির্দিষ্ট সাইলো বা পরিচিত ঘাঁটি থেকে অনেক দূরে।
এগুলি ট্রেনের টানেলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে, নিয়মিত ট্র্যাফিকের আড়ালে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে এবং অপ্রত্যাশিত স্থান থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এর ফলে শত্রু উপগ্রহ বা নজরদারি ব্যবস্থার পক্ষে আগে থেকে তাদের শনাক্ত করা এবং টার্গেট করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।