এই প্রসঙ্গে আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে সদা তৎপর। একইসঙ্গে পহেলগাঁও হানার ন্যায়ের ক্ষেত্রেই এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি সংগঠন তথা লশকর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত এই গোষ্ঠীকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছিল।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই বিষয়ে মার্কিন মুলুকেও যান, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার ফল এই তালিকাভুক্তিকরণ বলেই মনে করছে ভারত।
advertisement
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টি! একদিনে ৬৩ জনের মৃত্যু, বহু এলাকা জলমগ্ন, জারি জরুরি অবস্থা…
ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত হওয়ার ফলে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না এই জঙ্গি সংগঠনগুলি। কারণ, এছাড়াও, আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রেও তৈরি হল নানান বিধি নিষেধ।
অন্যদিকে স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিষ্ট (এসডিজিটি)-এর ফলে আমেরিকার কোনও নাগরিক এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে বা আমেরিকার কোনও জায়গায় তাঁর কোনও স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করবে মার্কিন সরকার। ফলে এই সম্পত্তি আর কোনও ভাবেই ব্যবহার করতে পারবে না সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফিনান্সিয়াল টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর সঙ্গে এর বেশ কিছু মিল আছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এই তালিকাভুক্তির ফলে বোকো হারাম, আইসিস, – সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নামে সঙ্গে শামিল হল টিআরএফের নামও।