আরও পড়ুন- অমরনাথ যাত্রার পথে হড়পা বান প্রভাবিত এলাকা চিহ্নিত, বিমানপথে উদ্ধারকাজ শুরু
“ষোল জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা গিয়েছে। প্রায় ৪০ জন এখনও নিখোঁজ বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও ভূমিধ্বসের খবর পাওয়া যায়নি, তবে অবিরাম বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে, যদিও এর ফলে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে না। NDRF-এর চারটি দল ১০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারী নিয়ে উদ্ধারকার্যে নেমেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, এসডিআরএফ, সিআরপিএফ এবং অন্যান্যরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে,” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন এনডিআরএফের মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল।
advertisement
চিনার কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এডিএস আউজলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হড়পা বান কবলিত এলাকায় পৌঁছেছেন। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার এবং কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনারও উদ্ধার অভিযানের তদারকি করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া তীর্থযাত্রীরা এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এক তীর্থযাত্রীর কথায়, “মেঘ ভাঙার ১০ মিনিটের মধ্যে, আটজন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জলের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পাথর বয়ে এসেছিল। প্রায় ১৫,০০০ তীর্থযাত্রী ওই অঞ্চলে ছিলেন। প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও তীর্থযাত্রীরা এখানে এসেই চলেছেন।” “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বৃষ্টি এখনও চলছে। বিপদের মাত্রা দেখে, এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে অমরনাথ যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে,” বলেন ITBP-র মুখপাত্র বিবেক কুমার পান্ডে।
আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের জন্য অমরনাথ যাত্রা স্থগিত, আপাতত নিখোঁজ ৫ পুণ্যার্থী
প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন চারটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে। কোভিডের কারণে স্থগিত থাকার দু’বছর পর ৪৩ দিনের অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ৩০ জুন।