পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত আফতাব জানিয়েছে সে শ্রদ্ধার দেহ থেকে কাটা মাথা অনেক দিন ধরে ফ্রিজেই রেখেছিল সে। কারণও জানিয়েছে সে। ফ্রিজ খুলে শ্রদ্ধার নিথর মাথা দেখে অতীতের বন্ধুত্বের দিনগুলির কথা ভাবত। তার পর অন্যান্য দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়ার পর কাটা মাথাটিও ফেলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার ১ নম্বর স্ট্রিটে একটি বহুতলের দোতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আফতাবের সঙ্গে থাকতেন শ্রদ্ধা। গত ১৫ মে তারা এই ফ্ল্যাটে থাকতে আসে। তার তিন দিন পর ১৮ তারিখ দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে। শ্রদ্ধার মুখ বন্ধ করার জন্য হাত দিয়ে চাপা দেয় আফতাব।
advertisement
আরও পড়ুন : সন্দেহ এড়িয়ে রক্তের ধারা মোছার জন্যই কি গভীর রাতে পাম্প চালাত আফতাব, সন্দেহ প্রতিবেশীদের
অভিযোগ, তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রেমিকাকে। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টি টুকরো করার পর রেখে দিয়েছিল ৩০০ লিটারের বড় ফ্রিজে। তার পর রোজ রাত ২ টো নাগাদ বেরিয়ে পড়ত আফতাব। ফিরত ঘণ্টাদুয়েক পর। সে সময় শ্রদ্ধার দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে আসতে সে। এভাবে ২০ দিন ধরে সে ফেলে এসেছিল ৩৫ টি দেহাংশ।
আরও পড়ুন : রক্তস্রোত মোছার জন্য গুগল-সন্ধান, প্রেমিকার দেহ খণ্ডিত করার জন্য অ্যানাটমির তথ্য, আফতাবের নৃশংসতা ভয়াবহ
২৮ বছর বয়সি আফতাবকে নিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ সেই সম্ভাব্য স্থানগুলিতে যান, যেখানে অংশগুলি ফেলা হয়েছিল। ১৩ টি দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে সেগুলি প্রায় হাড়ে পরিণত হয়েছে। বুধবারও আফতাবকে নিয়ে আবার একই জায়গায় যাবেন তদন্তকারীরা। লক্ষ্ণণ বলে শ্রদ্ধার এক বন্ধু মেয়ের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন শ্রদ্ধার বাবাকে। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তাঁকেও শামিল করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
