সফেদ শ্রীনগরের কংগ্রেস কার্যালয়ে পতাকা উত্তোজনের মাধ্যমে শুরু হয় এদিনের কর্মসূচি। তার পরে পায়ে পায়ে পদযাত্রা পৌঁছয় শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট ময়দানে। ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সেই বরফ বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় রাহুল গান্ধিকে। পাশে ছিলেন ন্য়াশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাকেও।
advertisement
এদিন কর্মসূচি শুরুর আগে বরফে নিয়ে স্নো-বল ফাইটে মাততে দেখা যায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে। স্নো-বল ফাইটের ভিডিও নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধি। ভিডিয়োর ক্য়াপশনে লিখেছেন, 'শীন মুবারক!'
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দুহাতে বরফ লুকিয়ে এনে বোন প্রিয়ঙ্কার মাথায় দিয়ে দিচ্ছেন রাহুল। তারপরেই দাদার পিছনে দৌড়ে তাঁর দুহাত জাপটে ধরে রেখে পাল্টা রাহুলের মাথায় বরফ দিয়ে দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কাও। স্নো-ফাইট শেষে ভাই-বোনের 'জাদু কী ঝপ্পি'।
এদিনের অনুষ্ঠানে ২১ বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তার মধ্যে এনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি, সিপিআইএম, সিপিআই, পিডিপি, জেএমএম-সহ ১২টি দল ইতিমধ্যেই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:বরফ নিয়ে খুনসুটি রাহুল-প্রিয়ঙ্কার, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র শেষলগ্নের ছবি ভাইরাল
গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীপেরুমবুদুরে বাবা রাজীব গান্ধির স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধি। তারপরে ১৩৫ দিনে ১২ রাজ্য, ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৪ হাজার ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩০ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে পদযাত্রা।
এই গোটা যাত্রার মধ্যে ১০০টি বৈঠক, ১৩টি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাহুল। ২৭৫ টি পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্তত ১০০টি বৈঠকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে।