কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ভাবে কিছু জায়গায় বিরোধ থাকতে পারে তবে তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তিনি আজ দেশের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সেই জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অবশ্য সাসপেন্ড করার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ” ভারতীয় রাজনীতির খুব বাজে একটা দিন। একটা কথা স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেই বলুন তাঁকে সবরকম চেষ্টা করা হবে আটকানোর জন্য।” অধীরের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণ বলেন, ” আমি স্পিকারের সম্পর্কে কিছু বলছি না। বিজেপি তো প্রস্তাবনা এনেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এটা করা উচিত হয়নি। এটা তো কাল সকালেও করা যেত।”
advertisement
আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করেছিলেন স্বপ্নদীপ ? বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল
অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব জমা দেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী৷ ধ্বনি ভোটে সেই প্রস্তাব পাস হয়৷ এর ফলে সাসপেন্ড হন অধীর৷ লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন তিনি৷ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো এবং দেশের ভাবমূর্তিকে অপমান করার অভিযোগ আনেন প্রহ্লাদ যোশী৷
প্রহ্লাদ যোশী অভিযোগ করেন, বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলেন৷ এমনকি দেশের ভাবমূর্তির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেও অধীর ক্ষমা চান না বলে অভিযোগ করেন প্রহ্লাদ৷