মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় তখন তখন চরম আতঙ্ক৷ হাই টেনশন বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহতদের সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের চিকিৎসার জন্য রেওয়া সঞ্জয় গান্ধী সহ সিধি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে রামপুর নৈকিন পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অকালেই হারিয়ে গেলেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ও রেডিও জকি, হতাশায় চরম সিদ্ধান্ত!
তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুতের টাওয়ারে স্থানান্তরের কাজ চলছিল, সেই সময় হঠাৎ টাওয়ারটি হেলে যায়। এতে অন্য টাওয়ারের ভারসাম্য বিগড়ে যায় এবং পুরো টাওয়ারটি মাটিতে ভেঙে পড়ে। এরফলে কাজ করতে আসা লোকজনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে মোতায়েন কর্মীদের সুরক্ষার বিন্দুমাত্র খেয়াল রাখা হয়নি। এটাই কারণ যে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় লোকজনের মৃত্যু হয়েছে।
ললিতপুর সিঙ্গারোলি রেল লাইনের ট্র্যাক টাওয়ারের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল, তাই টাওয়ারগুলির উচ্চতা বাড়াতে হয়েছিল। কোম্পানি অন্য একটি কোম্পানিকে টাওয়ার স্থানান্তরের কাজ দিয়েছিল কিন্তু টাওয়ার স্থানান্তরের সময় দুটি আলাদা টাওয়ার ভেঙে পড়ে এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। রামপুর পুলিশ সকল মৃতের পোস্টমর্টেম করেছে। এখন পরিবারের সদস্যদের জন্য অপেক্ষা করছে। কাল সকালের মধ্যে সকল মৃতের দেহ তাদের নিজ গ্রামে পাঠানো হবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যেই প্রথম টাওয়ারটি হেলে যায়, তার ঠিক পরেই দ্বিতীয় টাওয়ারটি মাটিতে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারত বাংলাদেশের সামনে ভয়ঙ্কর বিপদ! তিব্বতে বিরাট ‘চাল’ দিতে চলেছে চিন…
এসিপি অরবিন্দ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে টাওয়ার স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এই সময় প্রথমে একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় টাওয়ারটিও ভেঙে পড়ে। কাজ করতে আসা মোট ৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে, অন্যদিকে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর, যারা রেওয়া সঞ্জয় গান্ধী সহ সিধি জেলা হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।