এছাড়া আগরতলাতেও দলীয় কর্মী সহ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছবেন আগরতলা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তিনি যাবেন তেলিয়ামুড়ায়। তিনি সফর শুরু করবেন চতুর্দশা দেবতা মন্দিরে পুজো দিয়ে। এর পরেই তিনি মুখোমুখি হবেন সাংবাদিকদের। এর পর তিনি যাবেন তৃণমূলের আক্রান্ত কর্মী অনির্বাণ সরকারের বাড়িতে। অনির্বাণের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এর পর তিনি বিকেলে যাবেন অপর আক্রান্ত কর্মী তপনকুমার বিশ্বাসের বাড়ি।
advertisement
শেষে তিনি যাবেন সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তিনিও পুর প্রচারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনির্বাণের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারলেও, বাকি দুই কর্মীর বাড়িতে চা-পানের আসরে যোগ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের এই সফরকে ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ত্রিপুরা বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচীকে নকল করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত তথ্যে হাত? কেন মোদি সরকারকে 'খোলা চিঠি' শতাধিক প্রাক্তন আমলার?
প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচীতে অমিত শাহ, কখনও জে পি নাড্ডা, কখনও আবার বিজেপির একাধিক নেতা দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারতেন। বিজেপির এই জনসংযোগ কর্মসূচীকে তীব্র কটাক্ষ করত জোড়াফুল শিবির। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের দলের এই কর্মসূচী আর বিজেপির কর্মসূচী এক নয়। তাদের আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে শীর্ষ নেতা যাচ্ছেন। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবেন। অভিষেকের এই ত্রিপুরা সফর রাজনৈতিক ভাবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ২৮ ডিসেম্বর ৩৮২, ১ জানুয়ারি ২৩৯৮! ৫ দিনে ৬ গুণ বৃদ্ধি কলকাতার কোভিড-গ্রাফে! কেন?
তৃণমূলের দাবি, গত সাত মাসে তারা অল্প সময়ের ব্যবধানে পুর ভোটে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাই ত্রিপুরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও তৃণমূলের সসর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "ত্রিপুরাতে তিন মাসের মধ্যে আমরা আমরা পা রেখে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। ভারতে আর কোনও রাজনৈতিক দল এই নজির গড়তে পারেনি। তৃণমূল আর যাই হোক মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ না করেই শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তৃণমূল লড়বে।"