উল্লেখ্য, রাজ্যসভা থেকে দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীকে সাসপেন্ড করার পর লাগাতার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্না-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই বিষয়গুলিও উঠে আসবে অভিষেকের আলোচনায়। বস্তুত, সংসদে এবার রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে নেমেছে তৃণমূল। বিরোধীদের একজোট করার কাজও করছে তাঁরা। যদিও এমত অবস্থায় কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের। ফলে সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে কী স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে, সে বিষয়েও দলীয় সাংসদদের নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: জাদুঘরে CPIM! 'ডিপফ্রিজের' পর নতুন আক্রমণে তৃণমূল, 'আসল' লক্ষ্য নিয়ে জল্পনা
অপকদিকে, তৃণমূলের এবার নজরে রয়েছে গোয়াও। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোয়া যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ায় দলের সাংগঠনিক শক্তি-বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। আগামী বছরের শুরুতেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগেই গোয়ায় বড়সড় চমক দিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে দলে টেনে কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর কালেও ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, নাফিসা আলি-সহ আরও অনেকে। আগামী বিধানসভা ভোটে গোয়ায় সাফল্য পাবে দল, এমনই আশা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সুচারু পরিকল্পনা, এবার পুরভোটে যে স্ট্র্যাটেজিতে 'খেলবে' তৃণমূল...
গোয়ায় দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত পছন্দের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দলনেত্রীর নির্দেশে গোয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন মহুয়া। একইসঙ্গে পথে নেমে কাজ করছেন লিয়েন্ডার পেজও। দফায়-দফায় বৈঠক সারছেন দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। রণকৌশল তৈরি থেকে শুরু করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়েও প্রতিনিয়ত চলছে আলোচনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরে দলে নতুন বড় কোনও নামের অন্তর্ভুক্তি করা যায় কিনা, সেই চেষ্টাও চালাচ্ছেন গোয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব।