তাঁর দল বিগত কয়েকদিন ধরেই বলে আসছে বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee। তাঁকে সামনে রেখেই লড়াই করা হোক। শুক্রবার দলের এক সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সিপিএম রাস্তায় নেই, মাঠে নেই, ময়দানে নেই, ভোটে নেই। কার্যত বসে পড়েছে। আর কংগ্রেস তো অস্তিত্বহীন। কংগ্রেস ১-১.৫% এর পার্টি হয়ে গেছে। রোজ চারটে করে ইস্তফা দিচ্ছে। বাম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। বিজেপিকে যদি হারাতে হয়, তাহলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে হবে৷" তাই বাংলার পরে সামনে গোয়া ও ত্রিপুরার নির্বাচনকে টার্গেট করেই বিজেপি বিরোধীতায় ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন-দল ভাঙিয়ে জাতীয় বিকল্প, খোঁচা বাঘেলের! আমেঠিতে রাহুলের হার মনে করালো তৃণমূল
শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার নেতাদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Tripura Politics|)। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমরা শুনেছি ওই মাভৈঃ মাভৈঃ মাভৈঃ…। বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের শাসনকালে ত্রিপুরার মাটিতে চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে। ত্রিপুরাবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার লুণ্ঠিত, সংবাদমাধ্যমের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৪৪ ধারা জারি করে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি বন্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপির দুর্বৃত্তদের জেনে রাখা দরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদ নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ ও কর্মীদের লড়াইয়ের স্পৃহা। তাই কণ্ঠরোধের যত চেষ্টা চালাবে বিজেপি, ততই তীব্রতর হবে প্রতিবাদের ভাষা। ত্রিপুরাবাসীর চোখে স্বৈরাচারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিভেদকামী বিজেপিকে উৎখাত করার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা মরণপণ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। আগামীদিনে ত্রিপুরার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করবে মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্গোৎসবের শুভ সূচনালগ্নে আপামর ত্রিপুরাবাসীকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। শুভশক্তির স্নেহাশিসে সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দমুখর।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের মুখপত্রে কংগ্রেসের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা নেতা সুখেন্দুশেখর রায়। জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে তিনি লিখেছেন, "দুর্ভাগ্যবশত বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। আমরা ভেবেছিলাম সমস্ত দেশ জুড়ে কংগ্রেসের একটা অস্তিত্ব আছে। সেহেতু তারা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নেবে। কিন্তু বাস্তবে যেটা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে কংগ্রেস তার অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে এতটাই ব্যতিব্যস্ত যে তাঁরা এ বিষয়টি উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবার অবকাশই পাচ্ছে না।"
সব মিলয়ে ভিন রাজ্যে (Tripura Polittics) নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করা ও বিজেপি বিরোধিতায় এখন থেকেই ২০২৪ এর প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছে জোড়াফুল শিবির।