মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার তাঁর আগরতলায় রোড-শো করার কথা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু করে শহর পরিক্রমা করে এসে আবার সেখানেই ফিরে সভা করতে পারেন তিনি। মমতা-অভিষেকের কর্মসূচির জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে মমতার এই সফরকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সকালে মমতার পদযাত্রা, বিকেলে যোগীর রোড শো! ভোট প্রচারে ত্রিপুরা জমজমাট
বাংলার ধাঁচেই ত্রিপুরায় উন্নয়নের বার্তা দিয়ে গত রবিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্তেহারে রয়েছে, বাংলার মতোই ‘সুবজসাথী’, স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ডে’র প্রসঙ্গ। ক্ষমতায় আসলে আগামী পাঁচ বছরে দু’লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চাকরি হারানো ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে আর্থিক সহায়তা, বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্য দুয়ারে দু’হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় শাহী প্রচারে নিশানায় 'তিপ্রামোথা'! তুমুল তোপ বাম-কংগ্রেস জোটে! নামই নিলেন না তৃণমূলের
এ ছাড়াও চাকরি না পাওয়া বেকার যুবক যুবতীদের মাসিক হাজার টাকা করে ভাতা, ছোট ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, কৃষকদের আর্থিক সহায়তা সহ আরও বেশ কিছু উন্নয়ণের বার্তার কথাও বলা হয়েছে। বাংলার উত্তরকন্যার মতো উত্তর ত্রিপুরায় আলাদা সচিবালয় তৈরি করার কথাও রয়েছে ইস্তেহারে। আর এই সব বিষয় বিশেষ করে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার মতো ইস্যুকে প্রচারে তুলে ধরার কথা বলেছেন অভিষেক৷ যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির৷
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, "উনি এসেছেন ভাল কথা। গণতান্ত্রিক রাজ্যে যে কেউ ভোট প্রচারে আসতেই পারেন। তবে এই রাজ্যের মানুষ পরিযায়ী পাখীদের মেনে নেবে না।" আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো যে পথ ধরে সেখানে রয়েছে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়। বিজেপির সব শীর্ষ নেতারা সেখানে আসছেন-যাচ্ছেন। তারই সামনে দিয়ে মমতা-অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের রোড শো যাবে৷ ফলে ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে হেভিওয়েট নেতাদের প্রচার আজ দেখা যাবে।
