আরও পড়ুন: শিল্পী-মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর! জোড়া কার্ডে চমক মমতার, দেখালেন কর্মসংস্থানে নয়া দিশা...
এই চারজনের মধ্যে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ও নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan) শোকজ করে বৈঠকে গড়হাজির থাকার কারণ জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। যদিও অনুপস্থিত থাকলেও শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ও দিব্যেন্দু অধিকারীর(Dibyendu Adhikari) বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ সম্ভবত নিচ্ছে না দল। এমনটাই সূত্রের খবর। কারণ দল মনে করছে, শিশির ও দিব্যেন্দু আর দলে নেই।
advertisement
সূত্রের খবর, সিএম জাটুয়া ও গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো অনুপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। তবে এঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, কারণ এঁরা আগেই কারণ জানিয়েছেন তাঁদের অনুপস্থিতির।
দলের সাংগঠনিক বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে, শৃঙ্খলাপরায়ণতার সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee Meeting TMC MP)। দুপুর পৌনে ১১টার মধ্যে সমস্ত সাংসদকে সভাকক্ষে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সভাকক্ষে পৌঁছনোর আগে দলীয় কার্যালয়ে থাকা রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে হবে সমস্ত সাংসদকে। এরপরেই দলের সাংসদদের 'ভোকাল টনিক' দেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সংসদের দুই কক্ষেই বাংলার ইস্যু এবং বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণের বকেয়া অর্থ, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া অর্থ দ্রুত মেটানোর দাবিতে সংসদে সরব হওয়ার নি্র্দেশও দেন তিনি। এছাড়াও বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিমাণবৃদ্ধি নিয়েও সংসদে আওয়াজ তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সাংসদদের। প্রসঙ্গত, লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে, জিএসটি বাবদ বকেয়া রয়েছে বাংলার। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই লিখিত উত্তর তৃণমূলের বড় হাতিয়ার। সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন লোকসভায় মোটের ওপর স্বাভাবিক কাজ হলেও, তুমুল বিক্ষোভ হয় রাজ্যসভায়। বিরোধী দলের সাসপেন্ড করা ১২ জন সাংসদকে ফেরানো ও কৃষকদের ইস্যুতে প্রবল বিক্ষোভ করতে থাকে বিরোধী শিবির। কার্যত রাজ্যসভা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। লোকসভায় কৃষকদের ইস্যু নিয়ে এদিন সরব হন রাহুল গান্ধি। মৃত কৃষকদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সরকারের কাছে কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে কোনও তথ্য নেই। সেই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে সরব হন রাহুল গান্ধি। তারপর অধীর চৌধুরীও বলার চেষ্টা করলে, তাঁকেও বলতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা।