গতকাল শেষ মুহূর্তে অভিষেকের এই সভার স্থান সরাতে নির্দেশ দেয় বিপ্লব দেবের রাজ্যের পুলিশ। রবীন্দ্র ভবনের সামনে সর্বভারতীয় তৃণমূল সাধারণ সম্পাদকের জনসভা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস। রাতেই হাইকোর্টে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। রবীন্দ্র ভবনের সামনেই জনসভা হবে বলে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। এতে খুশি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুন-৪ দিনে ৪ ডিগ্রি নামল তাপমাত্রা! বঙ্গে আসছে জাঁকিয়ে শীত? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে
advertisement
পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল এই এলাকায় সভা হলে যানজট হতে পারে। কিন্তু অই নির্দেশ আসে শেষ মুহূর্তে। ততক্ষণে মঞ্চ তৈরি থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আদালতে ছোটে তৃণমূল। কুণাল ঘোষের কথায়, "অভিষেককে ওরা ভয় পাচ্ছে। অভিষেক যাতে ত্রিপুরায় না আসে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিল। ১৪৪ করে রেখেছিল গোটা শহরটা।"
আরও পড়ুন-চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা- উত্তর চব্বিশ পরগণা, রাজ্যের করোনা চিত্রে বদল নেই
প্রসঙ্গত শুধু মঞ্চ নিয়েই গড়িমসি নয়। শেষ মুহূর্তে করোনাবিধিতেও বদল এনেছে ত্রিপুরা সরকার। বলা হয় আরটিপিসিআর নেগেটিভ হলে তবেই ত্রিপুরায় প্রবেশ করা যাবে। বিপ্লব দেব সরকারের দাবি, বাংলায় করোনা পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ বা তার বেশি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসেব বলছে ২৬ অক্টোবর বাংলায় পজিটিভিটি রেট ছিল ২.০৮ শতাংশ।
কেন ত্রিপুরা সরকার এই দাবি করছে, প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে জেলাওয়াড়ি হিসেব সামনে এনে দেখানো হয়েছে কোনও জেলাতেই সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। সেই কারণেই প্রতিহিংসার অভিযোগ আনছে তৃণমূল। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।
সামনের মাসে ত্রিপুরায় পুরভোট। বলাই বাহুল্য তৃণমূল পাখির চোখ করেছে এই ভোটকে। আর সে কারণেই মাথা ব্যথা শাসক দলের, বলছে তৃণমূল।