রাজনৈতিক মহলের মতে, বারবার প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা অভিষেক যেভাবে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই বলছেন, এতে অভিষেকের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার 'ইমেজ'ই প্রতিফলিত হল। প্রসঙ্গত, এদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু তিনি মেইল করে জানিয়ে দিয়েছেন, হাইকোর্টে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাই এখন হাজিরা দেবেন না তিনি।
advertisement
উল্লেখ্য, ইডির মুখোমুখি হতে রবিবারই দিল্লি উড়ে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কয়লা-কাণ্ডে (Coal Case) ED-র তলবে যে তিনি সাড়া দিচ্ছেন, রবিবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। কয়লাকাণ্ডে অভিষেক ও তাঁর রুজিরাকে তলব করেছে ইডি। অবশ্য রুজিরা করোনা-আবহে কলকাতায় ইডির অফিসে হাজির হওয়ার কথা জানিয়ে ইডি-কে চিঠি দিয়েছেন। আর এদিন ইডির মুখোমুখি হলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: 'ক্ষমতা থাকলে ১০ পয়সারও লেনদেন সামনে আনুন', ইডির কাছে যাচ্ছেন অনড় অভিষেক
রবিবার কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেকের মুখে অবশ্য ছিল চ্যালঞ্জের সুর। তিনি বলেন, 'আমি নভেম্বর মাসেও যা বলেছিলাম, ৭ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তাই বলছি। আমি আজও আমার অবস্থানে অনড় রয়েছি। আমি প্রকাশ্য জনসভায় থেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যদি কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই লাগানো দরকার নেই। এত বড় দুর্নীতির কথা বলছে ওরা, কিন্তু যদি ১০ পয়সার কোন লেনদেন প্রমাণ করতে পারে বা জনসমক্ষে আনতে পারে, আমার পিছনে ইডি সিবিআই লাগাতে হবে না। আমাকে ফাঁসির মঞ্চ করে বলুন, আমি মৃত্যুবরণ করতেও রাজি আছি। এই কথা থেকে আমি পিছোব না।'
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য অভিষেককে কটাক্ষ করে বলেন, 'বাইরে এতকিছু না বলে ইডি যা জানতে চাইছে, তার উত্তর দিলেই তো হয়। ওদের এত নেতাদের কেন ডেকে পাঠাচ্ছে, এমনি এমনি তো কাউকে ডাকে না। আর সেই প্রতিশোধ নিতে এখানে আমাদের নেতাদের সিআইডি দিয়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে।'