সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন সকালে অধিবেশন শুরুর আগে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীররঞ্জন চৌধুরীদের পাশাপাশি সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা যায় তাঁকে৷
আরও পড়ুন: বিরাট স্বস্তি! অভিষেক-রুজিরার বিদেশ যাত্রা নিয়ে কী নির্দেশ, ইডি-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
সেখানে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন অভিষেক৷ মণিপুর নিয়ে বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করে বলেন, ‘‘মণিপুর হিংসা নিয়ে ওঁরা (বিজেপি) অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেনি৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। ওই রাজ্য থেকে যে সমস্ত ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার সংসদে মণিপুর নিয়ে কোনও আলোচনাই করতে চায় না। মণিপুর থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই তারা বাংলা এবং রাজস্থানের বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করছে৷’’
advertisement
এরপরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন অভিষেক৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে আমি একটি বিষয় জানাতে চাই, গত তিনমাস বাংলায় ইন্টারনেট পরিষেবা একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে এবং বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও কোনও সমস্যা নেই৷ যদি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, মণিপুরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে, তাহলে তিনি কেন মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করছেন না? আসলে, এটাই হল মণিপুরের ‘ডবল-ইঞ্জিন’ সরকারের স্বরূপ। এই ঘটনা বিজেপির লজ্জা। কেন্দ্রীয় সরকার যে কতটা অযোগ্য ও অদক্ষ, এই ঘটনা তারই প্রমাণ৷’’ মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর মৌন থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি৷
আরও পড়ুন: মণিপুর নিয়ে দফায় দফায় উত্তাল সংসদ! বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়ে অমিত শাহ বললেন, আলোচনায় রাজি
মণিপুরের ঘটনার পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রশ্নেও সরব হন অভিষেক৷ আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার পাশাপাশি নতুন সংসদ ভবন তৈরির খরচের তুলনা টানেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ৷
‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যেই প্রত্যেক পরিবার মাথার উপর ছাদ পাবে। আজ, ২০২৩ সালের জুলাই মাস এবং বাংলার ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আবাস যোজনার তহবিলের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করতে ১,৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে, অথচ তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চাইছে না’’, এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন সাংসদ অভিষেক।