এ দিন অভিষেক দাবি করেন, সারদা কাণ্ডের সময় থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি৷ কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অবশ্য এ দিনও দাবি করেছেন, গোটাটাই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত৷ নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তিন বছর হয়ে গেল মুখ দিয়ে অভিষেক বেরোয়নি, কী জ্বালা, কী ভয়!'
advertisement
আরও পড়ুন: রাজীব কাণ্ড থেকে শিক্ষা? মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় তৃণমূলনেত্রী মমতা
এর পরেই সারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টানেন কুণাল। বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সারদা কাণ্ডে দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ছিলেন। এ দিন মঞ্চে বসা কামারহাটির বিধায়ককে দেখিয়ে অভিষেক বলেন, এই তো মদন মিত্র বসে আছেন। যখন আটকে রেখেছিল, তখন বার বার বলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলুন ছেড়ে দেব৷ মদনের দিকে তাকিয়ে অভিষেক জিজ্ঞেসও করেন, 'কী বলত না?' অভিষেকের কথায় সম্মতি জানান মদন৷
আরও পড়ুন: হাজার হাজার কোটির হিসেব! কেন্দ্রের কাছে কোন খাতে কত পাওনার দাবিতে আজ ধরনায় মমতা?
এ দিনও অভিষেক বার বার দাবি করেছেন, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে সাসপেন্ড করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তৃণমূল একমাত্র দল যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে৷ ভারতবর্ষের আর কোনও দল পারবে? আমার পিছনে ইডি, সিবিআই লাগাতে হবে না৷ নারদা, সারদা, গরু, পাচার, কয়লা পাচার, কোথাও যদি আমার নাম প্রমাণিত হয়, তাহলে এই শহিদ মিনারে নিজে এসে মৃত্যুবরণ করব৷'