অরবিন্দ সরকারের অন্যতম বিশ্বস্ত এই নেতা গত আট বছর ধরে পরিবহণ দফতরের মন্ত্রীত্ব সামলেছেন। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা অরবিন্দ এবং অতিষী সরকারের বিতর্ক সামনে আসায় তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে জানান। দিল্লির সরকার জনতার প্রতিশ্রুতি পালনে বহুক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পদত্যাগ পত্রে কৈলাস দিল্লির প্রাক্তন মুখমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়া জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
advertisement
এই চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমি আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করি দিল্লির মানুষদের সেবা করার উদ্দেশ নিয়ে। তাই যখন আমি আর সেই সুযোগ পাচ্ছি না আর কোনও বিকল্প না পেয়েই আমি মন্ত্রী পদ থেকে এবং আম আদমি পার্টির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।”
দিল্লি সরকার কেন বহুক্ষেত্রে দিল্লিবাসীর প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ সেই কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা যমুনা নদী পরিষ্কার করব, কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হই।” তিনি আরও জানান এই কয়েক বছরে যমুনা নদী আরও বেশি দূষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক এবার ভারত! হল সফল পরীক্ষাও
নজফগড়ের বিধায়কের আরও দাবি, “আমরা শুধু আমাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয় নিয়েই লড়ে গিয়েছি। কোথাও গিয়ে মানুষের অধিকার নিয়ে লড়তে আমরা ভুলতে বসেছি। ফলে দিল্লিবাসীর সাধারণ চাহিদাটুকু মেটাতেও আমরা ব্যর্থ।”
গেহলতের ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আম আদমি পার্টির নেতারাও। এই প্রসঙ্গে আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক দাবি করেন ইডি আর আয়কর হানার ভয়েই কৈলাস গেহলতের এই পদত্যাগ।
আরও পড়ুন: ঠান্ডার কামড় রাজ্যে রাজ্যে! কী হতে চলেছে বাংলায়? এল আবহাওয়ার ‘নতুন’ হুঁশিয়ারি!
তিনি জানান, “বেশ কিছু মাস ধরে কৈলাসবাবুকে ইডি এবং আয়কর দফতরের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছিল। তাঁর আপ ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ খোলা ছিল না। এটার থেকেই স্পষ্ট হয় দিল্লির ভোটে বিজেপি ইডি-সিবিআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে।”
অন্যদিকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মশিবির। তাঁদের পক্ষ থেকে কৈলাস গেহলতের পদত্যাগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র জানান, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতি কতটা গভীরে, তা এটা থেকেই স্পষ্ট। ধীরে ধীরে আপের কর্মী সমর্থকরা সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে।”