উপ মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি, দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনব নিয়ে তুলকালাম৷ সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না আপের৷ কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তে আপ-এর অন্দরে নতুন করে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
আরও পড়ুন:কেন জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল? ভোটের লড়াইয়ে কী কী সমস্যায় পড়তে হবে
নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার পরে আম আদমি পার্টির মুখ্য আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, এত কম সময়ে জাতীয় দলের মর্যাদা অর্জন নিঃসন্দেহে দলের দায়িত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়৷ এই ঘটনা "অলৌকিকতার চেয়ে কম কিছু নয়" বলে অভিহিত করেছেন কেজরী৷
advertisement
দলের নেতা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে কেজরীর ট্যুইট, ‘এতো অল্প সময়ে জাতীয় দল? এটা অলৌকিকতার চেয়ে কম কিছু নয়। সবাইকে অনেক অভিনন্দন। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। মানুষ আমাদের কাছে অনেক কিছু আশা করে। আজ মানুষ আমাদের এই বিশাল দায়িত্ব দিয়েছে। ঈশ্বর, আমাদের এই দায়িত্ব ভালভাবে পালন করার জন্য আশীর্বাদ করুন৷’
এক দিকে যখন আপ-র কপালে নতুন করে জাতীয় দলের তকমা জুটেছে, অন্যদিকে, জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে বাংলার দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল৷ তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিআই৷ এমনকি, নতুন তালিকা অনুযায়ী, বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ শরদ পওয়ারের দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-ও হারিয়েছে জাতীয় দলের মর্যাদা৷
আরও পড়ুন: বিরাট ধাক্কা! জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস, সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
একটি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দল হিসাবে স্বীকৃত হতে হলে, এটিকে চার বা তার বেশি রাজ্যে একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসাবে বিবেচিত হতে হবে৷ এছাড়া, লোকসভার ২% আসনও দখলে থাকতে হয় তাদের।
একবার যদি কোনও রাজনৈতিক দল জাতীয় দলের মর্যাদা হারায়, তাহলে সেই দলটি অন্য রাজ্যে সাধারণ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে নিজের প্রতীক পাবে না।
বর্তমন তালিকা অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে ৬টি জাতীয় রৈজনৈতিক দল রইল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, বহুজন সমাজ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং সর্বশেষ প্রবেশকারী, আম আদমি পার্টি৷