বিক্ষোভকারীদের পুলিশ আটকাতে গেলে দু' পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়৷ এমন কি, কেজরীওয়ালের বাসভবনে যে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিল, সেগুলিও ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মীরা৷
এই ঘটনার পর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেন, নির্বাচনী লড়াই অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে বিজেপি তাঁকে খুন করার চেষ্টা করছে৷ তাঁর আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক বিক্ষোভের হলেও এ দিন যা হয়েছে তা আসলে ফৌজদারি অপরাধের সামিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: ঠোঁটকাটা গম্ভীরকে রাজনীতির পিচে 'গুগলি' দেবেন ভাজ্জি! আপ-এর নতুন কায়দা
সিসোদিয়া বলেন, 'আজ পুলিশের উপস্থিতিেই বিজেপি-র গুন্ডারা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যান৷ ওনাকে বিজেপি ভোটে পরাজিত করতে পারছে না, তাই প্রাণে মারতে চাইছে৷'
অন্যান্য আপ নেতারাও অভিযোগ করেছেন, দিল্লি পুলিশের সহযোগিতাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যান বিজেপি কর্মীরা৷ কেজরীওয়ালের বাস ভবনের গেটের বাইরে গেরুয়া রংও ছিঁটিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: আপ-এর নজরে আরও ৮ রাজ্য, তালিকায় কি আছে বাংলা?
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কার্যত বিনা বাধাতেই বিজেপি-র পতাকা সহ বেশ কয়েকজন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাড়ির বাইরে পৌঁছে গিয়েছেন৷ পুলিশের ব্যারিকেড টপকেই এগোতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা৷ হাতেগোণা কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁদের আটকাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন৷
পুলিশি বাধা টপকে দু'- একজন বিক্ষোভকারী কেজরীওয়ালের বাসভবনের মূল ফটক টপকে ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা কয়েকজনই বাকিদের নিরস্ত করে ফিরে যান৷
মণীশ সিসোদিয়া ট্যুইটারে অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সিসিটিভি-ও ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা৷ দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপি যুবমোর্চার দেড়শো থেকে দুশোজনের একটি দল এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছে যায়৷ পুলিশের অবশ্য দাবি, সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভাকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়৷ ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে আটকও করা হয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও করা হচ্ছে৷