পঞ্জাবের মতো গুজরাতেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছার জন্য সাধারণ মানুষের মতামত চেয়েছিল আম আদমি পার্টি৷ এ দিন গঢভির নাম ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, আপ-এর করা সমীক্ষায় প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ গঢভির সমর্থনে ভোট দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে গঢভির মূল প্রতিপক্ষ ছিলেন গুজরাতে দলের রাজ্য সভাপতি গোপাল ইটালিয়া৷
আরও পড়ুন: একশো কোটিতে বিধায়ক কেনার চেষ্টা বিজেপি-র, এবার ভিডিও প্রকাশ করে দাবি কেসিআর-এর
advertisement
চল্লিশ বছরের গঢভিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পিছনে অবশ্য রাজনীতির অঙ্কও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷ প্রথমত, গঢভি একটি কৃষক পরিবারের সন্তান৷ দ্বারকার পিপালিয়া গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন তিনি৷ তাছাড়া তিনি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি৷ রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে পড়েন৷ ফলে কৃষক সহ একটি বিপুল অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থন আদায় করতেই গঢভিকে সুকৌশলে বেছে নেওয়া হল কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে৷
আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ে এক্কেবারে অন্য মেজাজে মমতা! রাজ্যপালের বাড়িতে বাজালেন ঢাক... পাকালেন রাজনীতির সলতেও
গুজরাতের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন সাংবাদিক এবং সঞ্চালক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে গঢভির৷ রাত ৮ থেকে ৯টার মধ্যে তাঁর সঞ্চালনার একটি টেলিভিশন শো এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে যে দর্শকদের দাবিতে সেটির সময়সীমা আধ ঘণ্টা বাড়াতে হয়৷
অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন গঢভি৷ এই গঢভি পদবী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত৷ গঢভির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ছাড়া এই বিষয়টিও তাঁর পক্ষে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
গুজরাতে এবার বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে আপ৷ এর আগে গুজরাতের পুরসভা এবং স্থানীয় নির্বাচনে ভোটে লড়ে ভাল ফল করেছিল আপ৷ শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহের রাজ্যে গঢভিকে সামনে রেখে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল বাজিমাত করতে পারে কি না, তা অবশ্য ৮ ডিসেম্বর জানা যাবে৷ তবে পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসার পর গুজরাতে আম আদমি পার্টিকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না বিজেপি এবং কংগ্রেস৷