যত দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুনের তদন্তে। দিল্লি পুলিশ অবশেষে সেই মহিলার পরিচয় জানতে পেরেছে, যিনি শ্রদ্ধার খুনের পর আফতাব পুনাওয়ালার মেহরোলির ফ্ল্যাটে আসতেন। পুলিশের দাবি, সেই সময় শ্রদ্ধার শরীরের ৩৫ টুকরো আফতাব বাড়ির ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল।
পুলিশের দাবি, ওই মহিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ মনস্তাত্ত্বিক। 'বাম্বল' নামের এক ডেটিং অ্যাপে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। ওই মহিলাকেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে পুলিশ আফতাবকে শনিবার সন্ধেয় দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে আপাতত জেল হেফাজতে ১৩ দিনের জন্য পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত।
advertisement
প্রেমিকাকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য পাঁচটি ছুরি ব্যবহার করেছিল আফতাব৷ হদিশ মিলল সবকটির৷ তবে একটি করাত এখনও মিলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাঁচটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে তার প্রতিটি ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা৷ সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আফতাব। তারপরে গুগল করে সে। সেখানে কীভাবে দেহ লোপাট করতে হয়, সেই বিষয়ে সন্ধান করে আফতাব। তারপরেই ধারালো সরঞ্জামগুলির সাহায্যে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে আফতাব। টুকরোগুলো যাতে পচন না ধরে তার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ নিয়ে এসেছিল আফতাব। সেই ফ্রিজেই টুকরোগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিল আফতাব। তারপরে প্রায় ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরো গুলি ফেলে দিয়ে আসত আফতাব।