খবর পেয়ে তিলকনগর থানার পুলিশ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মাথায় গভীর আঘাত। এলিয়ে পড়ে আছে মাথা। মহিলার নাম সালমা (৩৫), যিনি বিধবা ও চার সন্তানের মা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, তাঁকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে।
এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!
advertisement
পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত সালমাকে খুন করে দেহটি কাপড়ে জড়িয়ে অটোরিকশার ভিতরে রেখে পালিয়ে যায়। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। অটোটি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকায় স্থানীয়রা বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং পুলিশে খবর দেন।
দেহটি পরে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সালমার স্বামী মারা গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন। ঘটনার আগে তিনি এমন একজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন যাঁকে তিনি চিনতেন। সেই সূত্রেই পুলিশের অনুমান, অপরাধী তাঁর পরিচিত কেউ।
সাউথ ইস্ট ডিসিপি সারা ফাতিমা জানিয়েছেন, “মৃতা সালমা (৩৫) ছিলেন বিধবা ও চার সন্তানের মা। খুনের উদ্দেশ্য ও অভিযুক্ত— দু’জনকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”
পুলিশের দাবি, সালমাকে অন্যত্র খুন করা হয়, পরে দেহ এনে অটোতে ফেলে রাখা হয়। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে রক্তের দাগ ও পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করেছে। তিলকনগর থানার পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তদল গঠন করেছে অভিযুক্তকে ধরতে। সূত্রের খবর, পুলিশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু হাতে পেয়েছে এবং খুব শিগগিরই গ্রেফতার হতে পারে কেউ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যেখানে অটোটি রাখা ছিল সেটি দিনে ভীড়ভাট্টা এলাকা হলেও রাতে অনেকটাই ফাঁকা থাকে। তাই পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, কখন ও কীভাবে অভিযুক্ত দেহটি সেখানে ফেলে পালিয়েছে। বর্তমানে সালমার পরিবার ও পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, ঘটনার আসল কারণ ও হত্যার আগে-পরে ঘটনাপ্রবাহ জানার জন্য।
