কর্নাটকের চামরাজানগর জেলার তামিলনাড়ু সীমানা লাগোয়া হাসানুরের ঘটনা। দেখা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। হঠাৎ দেখা যায় একটি হাতি দুলকি চালে হেঁটে চলেছে রাস্তার ডান দিক দিয়ে, জঙ্গলের ধার ঘেঁষে। গাড়ি থেকে নেমে তার পিছন পিছন হাঁটতে শুরু করেন এক যুবক। গাড়ির ভিতর থেকেও রেকর্ডিং করছিলেন তাঁর সঙ্গে থাকা কোনও ব্যক্তিই। সেই রেকর্ডিংয়েই দেখা গিয়েছে, যুবক কয়েক পা এগোনোর পরেই তাঁর দিকে ঘুরে যায় এক মনে চলতে থাকা হাতিটি। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে উঠে পড়েন যুবক। বেঁচে যান প্রাণে। হাতিটি রাস্তা পেরিয়ে চলে আসে বাঁ দিকে গাড়ির দরজার কাছে। ততক্ষণে গাড়ির গতি বেড়ে গিয়েছে। বরাত জোরে বেঁচে যান যুবক।
advertisement
আরও পড়ুন- বাবাকে হারাল ‘আমুল গার্ল’, গোটা আমুল পরিবারে শোকের ছায়া
আরও পড়ুন-বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ ৫০০ মদের দোকান! এবার কি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পথে মদ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। এভাবে বার বার কেন নিজদের বিপদ ডেকে আনতে চায় মানুষ। কেন হাতির কাছাকাছি গিয়ে সেলফি তোলার হিড়িক! গত কয়েক বছরে এভাবে হাতির হানায় প্রাণ গিয়েছে বহু সেলফিপ্রেমীরই। আবার মানুষের নৃশংসতার বলি হয়েছে হাতিও। ক্রমাগত কমে আসছে জঙ্গল এলাকা। যেটুকু জঙ্গল অবশিষ্ট রয়েছে সেখানেও কমছে বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংস্থান। তাই ক্রমাগত লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বুনো হাতির পাল। ভারতের বহু রাজ্যেই এটা সমস্যা। এদিকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার বিষয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। উদ্ধার হওয়া প্রাণীদের ধরে নিয়ে অন্য বনে ছেড়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।