নতুন করে উপত্যকায় আরও আরও ৮ হাজার আধাসেনা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ৷ সতর্কতা জারি দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ৷ উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, অসম এবং ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে নিরাপত্তাবাহিনীদের সরিয়ে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাশ্মীরে ৷
প্রস্তাব দিয়েছিলেন মহারাজা হরি সিংয়ের দেওয়ান গোপালস্বামী আইয়ার। জওহরলাল নেহেরু সম্মতি দেন। তবে একইসঙ্গে জানান, ২ থেকে ৬ মাসের জন্য উপত্যকায় তা চালু করা যেতে পারে। তারপর প্রায় ৫৫ বছরের বিতর্ক আর চাপানউতোর। জাতীয় স্তরে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ উঠলেই চলে আসে ৩৭০ ধারা।
advertisement
৬৯ বছর পর এদিন কাশ্মীর থেকে উঠে গেল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ৷ এবার থেকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ৷ জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও লাদাখে কোনও আলাদা বিধানসভা থাকবে না ৷ এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷
অমিত শাহের ঘোষণার পরই উত্তাল রাজ্যসভা থেকে সংসদ ৷ উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগেভাগেই কাশ্মীরে মোতায়েন বিপুল সেনাবাহিনী ৷ জারি ১৪৪ ধারা ৷ গৃহবন্দি দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক নেতা নেত্রী ৷ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশেও ৷
৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই বিরোধীরা একে ‘সংবিধানের হত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ৷ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার পরই বিরোধীদের নিশানায় বিজেপি সরকার ৷ যদিও বিএসপি, বিজেডি এবং শিবসেনা সরকারের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ৷
ঘোষণার পর ট্যুইট করে মেহবুবা মুফতি বলে, ‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন। ৩৭০ ধারা বিলোপ অসাংবিধানিক। জম্মু কাশ্মীরকে সন্ত্রস্ত রাখতে চায় কেন্দ্র। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় তা প্রমাণিত। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। কাশ্মীরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভাঙল কেন্দ্র। যারা সংসদের উপর ভরসা রেখেছিলেন, তাঁরা প্রতারিত হলেন। যাঁরা ভারতীয় সংবিধানকে খারিজ করতে চাইছেন, তাঁরা দেশকে খন্ডন করতে চাইছেন। এটি কাশ্মীরিদের অনুভূতিতে আঘাত।’
উপত্যকায় জারি ১৪৪ ধারা ৷ কোনও ধরণের মিটিং ও মিছিল এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ ৷ চার জনের বেশি ব্যক্তি এক জায়গায় জমায়েত হতে পারবে না ৷ মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা উপত্যকার অনেক জায়গাতেই বন্ধ রয়েছে ৷ বেশ কিছু জায়গায় ল্যান্ডলাইন সংযোগও স্তব্ধ ৷ আকাশপথেও জারি নজরদারি৷
কাশ্মীর নিয়ে এই সিদ্ধান্তে প্রভাবে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ৷ সতর্কতা জারি দিল্লি মেট্রোতেও ৷