স্বচ্ছ ভারত
২ অক্টোবর, ২০১৪ সালে সর্বজনীন স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্র অর্জনের জন্য মোদি মহাত্মা গান্ধির ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকীতে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেছিলেন। শুরু হওয়ার পাঁচ বছর পর, ২ অক্টোবর, ২০১৯ সালে, সমস্ত গ্রাম, গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিজেদেরকে “খোলাস্থানে মলত্যাগ মুক্ত” (ODF) ঘোষণা করেছে। কেন্দ্র সরকারের দাবি, ১০০ মিলিয়ন বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত ১.০-এর সাফল্যের পর এখন লক্ষ্য স্বচ্ছভারত ২.০, শহরগুলিকে আবর্জনামুক্ত করা।
advertisement
আরও পড়ুন- "দ্রুত সেরে উঠুন": কোভিড আক্রান্ত সনিয়া গান্ধির আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট মোদির!
গতি শক্তি
১৫ অগাস্ট, ২০২১ সালে লাল কেল্লা থেকে তাঁর ৮৮ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন গতি শক্তি হল পরিকাঠামোতে মোদির সাহসী সর্বজনীন এবং সমন্বিত পদ্ধতি। গতি শক্তি ১০০ লক্ষ কোটি টাকার পরিকাঠামোগত মাস্টার প্ল্যান। এই বছরের বাজেটে গতিশক্তির জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷
এই আট বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক দেখে নেওয়া যাক।
পরিকাঠামো ব্যয় ২০১৫ আর্থিক বর্ষের ১.৮১ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২৩ আর্থিক বর্ষে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে, বিশিষ্ট পরিবহন অর্থনীতিবিদ এম.কিউ. ডালভি উত্তর-পূর্বে একটি বিশাল রেল পরিকাঠামো তৈরির নকশা গড়েছিলেন। উত্তর-পূর্বকে রাস্তা, সেতু, টানেল, রেল ও বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে জাতীয় মূলধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করেছে মোদি সরকার।
সীমান্তকে আরও নিরাপদ করে তোলার লক্ষ্যেও কর্মসূচি রয়েছে এই সরকারের। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ুর ব্যবহার পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করা এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াটের লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা বিজেপির সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ২০৩১ সাল নাগাদ ভারতের ৫০ টি শহরে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যেও কাজ করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- বড় ঘোষণা আদিত্যনাথের! উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত অক্ষয় কুমারের সিনেমা সম্রাট পৃথ্বীরাজ!
তবে, এই আট বছরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। মূলত ভারতীয় রেল চূড়ান্ত ভুক্তভোগী হয়েছে। পরিকাঠামোগত সংস্কার হয়নি, অর্থব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসন প্রকল্পটি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাও যেভাবে এগনোর কথা, তা এগোয়নি৷ স্মার্ট সিটি মিশনও এখন পর্যন্ত স্মার্ট হয়ে ওঠেনি। ১০০ টি নির্বাচিত শহরে - ব্রাউনফিল্ড এবং গ্রিনফিল্ড মিশন পিছিয়ে রয়েছে।
মোদি সরকার ৯.৫ কোটি দরিদ্র পরিবারকে ‘হর ঘর, নল সে জল’-এর অধীনে জলের কলের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা দিলেও সপ্তাহে রোজ ২৪ ঘণ্টা জলের সুবিধা এখনও স্বপ্ন৷ ভারতের শহরের জনসংখ্যা শীঘ্রই ৬০০ মিলিয়ন অতিক্রম করবে। শহর আবর্জনার স্তূপ হয়ে ওঠা থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর নেই সরকারের কাছে।