এই প্রকল্পের জন্য সারা দেশে বিভিন্ন এলাকায় ৫০০টি স্টেশনকে এই বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে এই সব স্টেশনে যাত্রীদের জন্য প্রবেশ পথ, ভিতরের এলাকা, প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার, লিফট বা এসকেলেটর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ফ্রি ওয়াই-ফাই, স্থানীয় পণ্যের জন্য কিয়স্কের মতো বিষয়গুলির উন্নতি করা হবে। সেই কারণে একটি মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই সব স্টেশনের উন্নয়ন করা হচ্ছে। সমস্ত স্টেশনে ন্যূনতম সুবিধার বিষয়গুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে লিফট, এসকেলেটর, যাত্রী প্রতীক্ষালয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজেট স্থির করা হয়েছে তিনটি স্টেশনের জন্য, যা হবে সবচেয়ে বড় ও বিশেষ। এসব স্টেশনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন।
নয়াদিল্লিকে দেশের বৃহত্তম স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানে প্রায় ৪,৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন। নতুন স্টেশনের মোট আয়তন হবে ২.২ লক্ষ বর্গমিটার। স্টেশনে আগত যাত্রীদের জন্য আগমন এবং প্রস্থানের দ্বার পৃথক করা হবে। স্টেশন চত্বরে দু’টি ছয়তলা সিগনেচার গম্বুজ তৈরি করা হবে। মাটি থেকে গম্বুজের উচ্চতা হবে যথাক্রমে ৮০ মিটার ও ৬০ মিটার।
আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ দেখতে গিয়ে বিপত্তি! টিকিটের টাকা ফেরত নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শাহরুখ-ভক্তদের
এক নম্বরে দিল্লি স্টেশনের পরে, সুরাত স্টেশন হবে দুই নম্বরে। এটিকে একটি মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে, যা রেলওয়ে, শহরের বাস টার্মিনাল স্টেশন ও মেট্রোকে একীভূত করে নির্বিঘ্ন যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে। পুরো স্টেশন কমপ্লেক্সটি একটি আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যবসা কেন্দ্রের মতো দেখাবে। এখানে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তৃতীয় স্থানে থাকতে চলেছে মুম্বইয়ের সিএসএমটি রেলওয়ে স্টেশন। বিমানবন্দরের মতো আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এই স্টেশনে। এখানে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।