উত্তর রেলওয়ের মতে, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। বেশ কিছু দিল্লিগামী ট্রেনও দেরিতে চলছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) অনুসারে, বুধবার রাজধানীর ঠান্ডা ছিল হাড়কাঁপানো। রাতের তাপমাত্রা ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি কম৷
প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন ঠান্ডা এবং কুয়াশা দুটিই বেশি থাকায় ১১৬৩টি ট্রেন বাতিল (Train Cancelled), ২৫টি ট্রেনের স্টেশন পরিবর্তন এবং এবং ২১টি ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্তভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে নয়া দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, আসাম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, ওড়িশা, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলি৷
advertisement
আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ১৩ বছরের এক ছেলেকে হত্যা করল যুবক
প্রতি বছর, উত্তর ভারত জুড়ে তাপমাত্রা কমে৷ এ বছরও বিশেষজ্ঞরা প্রবল শীতের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন৷ মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে আসা একটি ধূলিঝড় বিক্ষিপ্ত শীতকালীন বৃষ্টি নিয়ে আসছে উত্তর ভারতে। এর জেরে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাড়ছে ঠান্ডা৷
মঙ্গলবার দিল্লিতে এই বছরের শীতলতম দিন ছিল৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি 2013 সালের পর জানুয়ারির সবচেয়ে ঠান্ডা দিন৷ এমনকি মুম্বইও এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা জানুয়ারির সাক্ষী থেকেছে। তাপমাত্রা আবার বাড়ার আগে এই ঠাণ্ডা আরও কয়েকদিন থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিঘার হোটেলে বিধ্বংসী আগুন! দাউ দাউ করে জ্বলছে ঘর! আটক বহু পর্যটক...
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের (IMD) তথ্য অনুসারে, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের যে পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে তা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ২২৯ মিলিমিটার বেশি।
আক্ষরিক অর্থেই হাড় কাঁপাচ্ছে এবারের শীত৷ গোটা দেশ যেন নাজেহাল শীত আর বৃষ্টিতে৷ শৈতপ্রবাহের সতর্কতা (Cold Wave Warning) দেশের বিভিন্ন জায়গায়৷ শুধু শীত নয়৷ ভয় বাড়ছে ধোঁয়াশারও৷ দূষণ বাড়তে থাকায় আরোহীদের আতঙ্ক বাড়ছে বেশ৷ হালকা বৃষ্টির একদিন পর ধুলোর চাদর ছিল মুম্বইয়ে। ফলে এড়ানো যায়নি বিপদের আশঙ্কা৷ মুম্বই এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ঠান্ডা জানুয়ারি অনুভব করল এবার। ট্রেন বাতিলে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটক ও সাধারণ দেশবাসী৷