অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক মহেশ ভাগবত নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, ভুল দিক থেকে আসা একটি টিপার ট্রাক ও আরটিসি বাসের সংঘর্ষের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনার পরে শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
advertisement
দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডিও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গান্ধী ও ওসমানিয়া হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি।
একইদিনে পুণ্যার্থীদের ট্র্যাভেলার বাস ধাক্কা মারল ট্রাকে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাসের সিটে আটকে ছিল মহিলা ও শিশুদের ছিন্নভিন্ন দেহ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূুত্রে খবপর, যোধপুরের ফালোদির মাতোদা গ্রামের কাছে ভারত মালা এক্সপ্রেসওয়েতে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরাও মৃতদেহগুলি এবং আহতদের উদ্ধার অভিযান চালায়। পুলিশের মতে, নিহত ১৮ জন একই পরিবারের সদস্য। তাঁরা যোধপুরের সুরসাগর এলাকার বাসিন্দা। কপিল মুনি আশ্রমে প্রার্থনা শেষে বিকানেরের কোলায়ত মন্দির থেকে ফিরছিলেন প্রত্যেকেই। আহতদের প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গ্রিন করিডোর করে যোধপুরে স্থানান্তরিত করা হয়।
মৃতদেহগুলি ওসিয়ান সরকারি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। যোধপুরের পুলিশ কমিশনার ওম প্রকাশ মথুরাদাসচিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গন্তব্য থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে পুণ্যার্থীদের বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
