সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে সম্প্রতি সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপরজন গুরুতর আহত। আক্রান্ত দুজনের নাম পঙ্কজ এবং যতীন। দুজনেই একটি কুরিয়ার সংস্থায় কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গিয়েছে, পঙ্কজ এবং যতীনকে পিছন থেকে অনুসরণ করছিল পাঁচ জন এবং সামনে থেকে দুজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একজন আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই অচেতন হয়ে পড়েন অপরজন উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় এবং তারপর নর্দমায় তাঁদের দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মামীর সঙ্গে ভাগ্নের পরকীয়া, শুধু সন্দেহের বশেই দুর্গাপুর দেখল এক হাড়হিম ঘটনা!
সোমবার রাত দুটো নাগাদ বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকে সঙ্গে থাকা যা কিছু দিয়ে দিতে বলে। পঙ্কজের কাছে কিছু না থাকলেও যতীনের থেকে ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।যতীনের ভাইয়ের সাহায্যে পঙ্কজ, যতীনকে বাড়ি নিয়ে যায়। সোমবার সকালে তাঁদের এ আই আই এম এস এর ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। বুধবার যতীনের মৃত্যু হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ এর জুন মাসে পাথর হাতে একের পর ভয়ঙ্কর খুন করে চলে দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে আগ্রহী? নিউ টাউনে যা ঘটল, এবার থেকে খুব সাবধান!
৬ মাসে ১২ জনকে খুন করা হয়। আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল গোটা শহর। পুলিশের অনুমান, অত্যন্ত ভারী পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হত। মাথায় আঘাতের ধরন দেখে পুলিশের ধারণা হয়েছিল, পাথরগুলো বেশ উঁচু থেকে ফেলে তাঁদের মাথায় আঘাত করা হত। এছাড়াও পাথরগুলোর ওজন ছিল প্রায় ৩০-৩৫ কেজি করে। তবে সেই খুনিকে কোনওদিনও ধরতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। মুম্বইতেও প্রথম হানা দিয়েছিল এই স্টোনম্যান। চলতি বছরের জুলাই নাগাদ কলকাতার বিকে পাল এভিনিউ তে ফের তৈরি হয় স্টোন ম্যান আতঙ্ক।