আক্রান্তের নাম ললিত পতিদার৷ তাঁর বয়স ১৭৷ চিকিৎসকরা বলছেন, যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে সে, সেই রোগের ফলে শরীরের কোনও নির্দিষ্ট একটি অংশ থেকে বিপুল পরিমাণ লোমের জন্ম হয়৷ পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ছোটবেলা থেকেই ললিতের শরীরে নানারকম সমস্যা ছিল৷ কিন্তু বালক অবস্থায় পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়েনি৷ তবে ক্রমে শৈশব ছেড়ে বাল্যে প্রবেশের পরেই শরীর পাল্টে যেতে থাকে৷ বদলে যায় মুখাবয়ব৷
advertisement
আরও পড়ুন, মমতা বেরোতেই তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়, বড় ইস্যুতে সুর চড়াল বিজেপি
আরও পড়ুন, 'মানুষের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ মমতার!
সংবাদমাধ্যমে ললিত জানিয়েছে, সে যখন স্কুলে যেত, তখন ক্রমে তার সহপাঠী, বন্ধুরা নানারকম উৎপীড়ন শুরু করে তার উপর৷ ঢিল ছোড়া হয় তাকে লক্ষ্য করে. মারধরের মুখেও পড়তে হয়৷ সে বলেছেন, ‘‘আমার মা বাবা আমাকে বলেছিলেন, জন্মের সময় আমার শরীরের লোম কেটে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা৷ আমি ৬-৭ বছর বয়স পর্যন্ত তেমন করে কিছু বুঝতে পারিনি৷ কিন্তু তার পরেই আমার লোম বার হতে থাকে৷ তবে সেটি সাধারণ মানুষের মতো ছিল না, ছিল একেবারে জান্তব৷’’
আসলে এই রোগটি কী?
ওয়্যার উল্ফ সিনড্রোম, চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম হাইপারট্রাইকোসিস, হল শরীরের একটি অংশে বা সারা শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে লোমের প্রকাশ৷ কেমন এমন হয়, তা এখনও চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণার বস্তু, বিস্তারিত তথ্য এখনও মেলেনি৷ তবে মনে করা হয়, এটি বংশগত৷ এটির কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ এখনও চিকিৎসাবিজ্ঞানের অংশ নয়৷ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়৷