যুক্তি-তথ্য-সাক্ষ্যপ্রমাণ। ১৩৪ বছরের আইনি জট কাটাতে এর উপরই ভরসা রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর উপর ভিত্তি করেই শনিবার ঐতিহাসিক অযোধ্যা রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
১৮২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর অযোধ্যায় হিংসার উল্লেখ রয়েছে স্থানীয় পুলিশের রিপোর্টে ৷ সেই রিপোর্টে ‘জন্মস্থানে মসজিদ’ কথাটির উল্লেখ করেন ‘থানেদার’ শীতল দুবে ৷ ১৮৬১ সালের ১২ মার্চ মসজিদের খতিব ও মোয়াজ্জেম চবুতরা সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন ৷ ৩ এপ্রিল ১৮৭৭ সালে মসজিদ ও মন্দিরের জোড়া দেওয়াল ভেঙে দরজা তৈরির আর্জি জানান মোহন্ত খেমদাস নামে এক ব্যক্তি ৷ সেই আর্জিতে অনুমোদন দেন অযোধ্যার ডেপুটি কমিশনার ৷ প্রতিবাদে ডেপুটি কমিশনারকে পালটা চিঠি লেখেন মহম্মদ আসগর নামে আরেক ব্যক্তি ৷ ১৮৯০ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নর্থ-ইস্ট প্রভিন্সেস অ্যান্ড অউধ ৷ রিপোর্টে এএসআই দাবি করে, জমিতে একটি মন্দির ছিল ৷ ওই মন্দিরের কলম ব্যবহার করে তৈরি হয়েছিল মসজিদ ৷ ১৯৩৪ সালে মসজিদের উপর একবার হামলা হয় ৷ তখন মসজিদের সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয় এক মুসলিম ঠিকাদারকে ৷ সেই বিল এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ৷ যেখানে মসজিদের কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে ৷
advertisement
প্রতিটি ঘটনা-অভিযোগ-রিপোর্ট, সব ক্ষেত্রেই রামের জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অযোধ্যার ওই জমির। সঙ্গে বহু মানুষের সাক্ষ্যপ্রমাণ। ষাট থেকে ৯৫ বছর বয়সী সেই সাক্ষীদের মধ্যে যেমন হিন্দু ছিলেন। তেমনই ছিলেন মুসলিমরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস এটা রাম জন্মভূমি। আর মুসলিমরা জানতেন জন্মস্থানেই রয়েছে মসজিদ। যুক্তি-তথ্য-সাক্ষ্যপ্রমাণের পাশাপাশি মানুষের এই বিশ্বাসও গুরুত্ব পেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।
রিপোর্ট- সপ্তর্ষি সোম