দেশের অন্যতম ব্যস্ত নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন। আর সেখানেই কি না ১১ জন জাল টিটিই ডিউটি করতে গিয়ে ধরা পড়ল। অভিযুক্তরা ১৫ দিন ধরে স্টেশনে কাজ করছিল। কেউ তাদের ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রেলওয়ের কর্তারা নড়চড়ে বসেছেন। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লির মতো স্টেশনে কীভাবে এমন ভুয়া কাজ হচ্ছে!
advertisement
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা সন্দেহ হওয়ার পরে ওই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। আরপিএফ এবং রেলের কর্মীরা প্রতারকদের রেল পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
একচি বহু প্রচারিত দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের প্ল্যাটফর্মে ডিউটি করার সময় পাকরাও করা হয়। টিকিট কালেক্টরের মতো সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট পরে ডিউটিতে আসত তারা। নির্দিষ্ট সময় পর ডিউটি শেষ হলে ফিরে যেতেন।
দেশের রাজধানীতে এই প্রথম এতজন ভুয়া টিটিই ধরা পড়ল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রেলের আধিকারিক রীতেশ ওয়াধওয়া কানপুর শতাব্দীতে সওয়ার হয়েছিলেন। টিকিট চেক করা ব্যক্তিকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। এর পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এর পর ওই ভুয়া টিটিই-দের নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রেলের ডিসিপি হরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তদন্তের পর ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই জালিয়াতি চক্রে বাকিদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের কয়েকজন গোরখপুরের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের পর কয়েকজনের কাছ থেকে জাল নিয়োগপত্রও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- চিন্তন শিবিরে আমন্ত্রণ না পেয়ে নাড্ডার দ্বারস্থ হচ্ছেন অনুপম
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা সবাই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বাসিন্দা। ওই অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২-৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল টিটিই চাকরির জন্য। তারা সকলেই নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে কাজ করত। আরও কেউ জড়িত কি না, খোঁজ করছে পুলিশ।