আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন,৩ দশক পর ধর্ষকের সাজা প্রাণঘাতী ইনজেকশন
ধর্ষণ-খুনে দ্রুত শুনানি শেষ করার ক্ষেত্রেও নজির গড়ল রাজ্যটি৷ গত জুন মাসে এক ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবারই মন্দসৌরের বিশেষ আদালত ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল৷
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করল ধর্ষক
advertisement
কী ভাবে এল এই সাফল্য?
সে রাজ্যের সরকার একটি অভিনব পদ্ধতি নিয়েছে৷ ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক প্রসিকিউশন জানাচ্ছেন, ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যে সরকারি আইনজীবীরা যত তাড়াতাড়ি শুনানি শেষ করতে পারবেন, তাঁদের রেটিং পয়েন্ট দেওয়া হচ্ছে৷ মৃত্যুদণ্ড দিতে পারলে ১ হাজার পয়েন্ট, যাবজ্জীবন দিতে পারলে ৫০০ পয়েন্ট ও অন্যান্য সাজায় ১০০-২০০ পয়েন্ট৷ যাঁরা ৫০০ পয়েন্টেরে নীচে পেয়েছে, তাঁদের সতর্কও করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: ধর্ষক বন্ধুর পাপের ফল ভোগ করছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার
এছাড়াও সরকার eProsecution নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে৷ সেই অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার সরকারি আইনজীবীকে প্রতিদিন মনিটর করছে প্রশাসন৷ তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজার ক্ষেত্রে একমাত্র হাইকোর্ট রায় দিলে তবেই পয়েন্ট মিলবে৷
সোমবারই উজ্জয়িনীতে চার্জশিট দাখিলের ৭ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ বছরের এক নাবালককে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে৷ ছেলেটি একটি ৪ বছরের শিশুকে রেপ করে৷ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ট্যুইট করে জানিয়েছেন, 'মানসিক ভাবে বিকৃতদের সর্বোচ্চ সাজা শোনানোর জন্য আইন ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে বিচার ব্যবস্থা৷'