আরও পড়ুন- টয়লেটে বসে মত্ত ভিডিও গেমে! যুবকের নিতম্বে কামড় দিয়ে দাঁত ভাঙল সাপের!
তবে জন্ম থেকেই শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা ছিল না সীমার। দুই বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় সীমার গুরুতর আহত পা কেটে বাদ দিয়ে ফেলতে হয়। তবে পা বাদ গেলেও স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছা বা আগ্রহ কোনওটাই কমেনি তার। সীমার বাড়ি যেখানে, সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তার স্কুল। সেই এক কিলোমিটার পথ এভাবেই এক পায়ের ভরে পাড়ি দেয় সীমা। শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার প্রচারের জন্য দুরন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সীমা। সীমা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়, সীমা চায় বড় হয়ে একদিন অন্যদেরও শিক্ষা দেবে সে, শিক্ষক হবে।
advertisement
পড়াশোনা করার এই ইচ্ছা এবং অন্যদের শেখানোর লক্ষ্যে অবিচল সীমার বাবা খিরান মাঝি একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি প্রতি মাসে যে সামান্য পরিমাণ টাকা পাঠান তা দিয়েই পরিবার চলে। সীমার মা বেবী জানান, ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সীমা।
আরও পড়ুন- দেখুন ভাইরাল ভিডিও: জঘন্য অভিজ্ঞতা! ম্যাকডোনাল্ডসের পানীয়ে ভেসে উঠল মরা টিকটিকি!
সীমার শিক্ষকরাও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সীমাকে বই ও অন্যান্য পড়াশোনার জিনিস জোগান তাঁরা। এক পায়ে স্কুলে যাওয়ার ভিডিওটি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কেজরিওয়াল সীমার গল্প পড়ে এবং দেখে ট্যুইটও করেছেন।
সীমার গল্প ইন্টারনেটে ভাইরাল ঠিকই, সীমার গল্প অনেককেই অনুপ্রাণিত ও উত্সাহিত করেছে তাও সত্য। তবে এর পাশাপাশি শিক্ষার অবস্থা এবং গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা তথা ভিন্নভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য সরকারের কী কী সুবিধা দেওয়ার কথা তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।