বাঁধাল শব্দটি, জলঙ্গি নদীর উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার প্রান্তিক দিন আনা দিন খাওয়া মৎস্যজীবীদের কাছে, দুঃস্বপ্নের মত। মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেআইনি ভাবে নদীকে আড়াআড়িভাবে বাঁশ, ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে আটকে দেওয়াকে স্থানীয় ভাষায় বলে বাঁধাল। এরফলে নদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ প্রতিহত হয়, আটকে যায় জলের নীচে মাছেদের স্বাভাবিক চলাফেরা। একটু একটু করে জমতে থাকে পলি, ভরাট হতে থাকে নদীখাত। কচুরিপানা আটকে জল পচে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে নদীতে। প্রকৃতির উপর কৃত্রিম হস্তক্ষেপের ফলে ক্ষতিগ্ৰস্ত হচ্ছে নদীর বাস্তুতন্ত্র, সংকটে জীববৈচিত্র্য।
advertisement
নদীকে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত করে এই বাঁধাল। এটি সম্পূর্ণত বেআইনি। বিগত দু'বছর ধরে মৎস্যজীবী ও জলঙ্গি নদী বাঁচাতে গঠিত নাগরিকদের উদ্যোগে সেভ জলঙ্গি ধারাবাহিক ভাবে নদিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে বাঁধাল অপসারণের দাবি জানিয়ে চলেছে। গত আগস্টে নদিয়া জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বাঁধাল সরাতে সংশ্লিষ্ট বিডিওদের নির্দেশ দেয়। প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, বাঁধাল দেওয়া আটকানো যায়নি এবছর। অবশেষে আজ জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিল এই বাঁধাল সরাতে।চর শম্ভুনগর এলাকায় প্রশাসনের নির্দেশে ও স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহায়তায়, সকাল নটা নাগাদ শুরু হয়ে বেলা দুটো নাগাদ শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন এসডিও(কৃষ্ণনগর সদর),বিডিও(কৃষ্ণনগর-১), এবং জেলা মৎস্যদপ্তরের সহ অধিকর্তা সহ সেভ জলঙ্গির পরিবেশ কর্মীরা।