জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই রয়েছে মন্দিরে ঢোকার প্রবেশাধিকার। সন্ধ্যেবেলা দেখা যায় মায়াপুর মন্দির চত্বরে আলোর রোশনাই ও রঙিন আলপনার সুসজ্জিত কারুকার্য। সর্বত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। দূর দূরান্ত থেকে আসা সমস্ত ভক্তদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট নজরদারি রাখা হয়েছে। দোল পূর্ণিমার আগে থেকেই হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় করেন মায়াপুরে। মন্দিরের সূত্র মারফত জানা যায় ১৮ মার্চ শুক্রবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের দিনটিও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গেই পালন করা হবে। ওইদিনই বসন্ত উৎসব, দোল পূর্ণিমা। দোল পূর্ণিমায় সর্বত্রই চলে রং ও আবিরের খেলা। কিন্তু জানা যায় ইসকন মন্দিরে রং ও আবির খেলা হয় না। সেইদিন মন্দিরে চলে একাধিক উৎসব। সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব সময়ে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলী ও প্রার্থনা করা হবে বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব কল্যাণের জন্য। করোনা বিধি মেনেই প্রতিটি অনুষ্ঠান পালন করা হবে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত দু'বছর করোনা অতিমারির কারণে সেই ভাবে পালন করা হয়নি দোল উৎসব। কিন্তু এবছর প্রকোপ অনেকটাই কমাতে ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।
advertisement