শান্তিপুর আরবান্দী দু’নম্বর পঞ্চায়েতের পাঁচপোতা পশ্চিমপাড়া ১৩২ সেক্টরের অন্তর্গত তিন নম্বর বুথে সকাল থেকেই বেলা বারোটা পর্যন্ত ভোট হওয়ার পর ইলেকশন এজেন্টরা লক্ষ্য করেন তাতে গ্রামসভার সাদা ব্যালটে তৃণমূলের সিম্বল থাকলেও প্রার্থীর নাম বদল হয়েছে অন্যদিকে সিপিআইএমের নাম সিম্বল কোনটাই নেই।
পঞ্চায়েত সমিতি গোলাপি ব্যালটে, বিজেপির যে প্রার্থীদের নাম আছে সে এই অঞ্চলের প্রার্থী নয়, তবে তৃণমূল এবং সিপিএমের ঠিক আছে।জেলা পরিষদের হলুদ কংগ্রেস নির্দল এবং বিএসপির প্রার্থী না থাকলেও তাদের সিম্বল এবং নাম চলে এসেছে ভুল করে। সকাল থেকে সিপিআইএম সমর্থকরা নিজেদের ক্যান্ডিডেট না পেয়ে অনেকেই হয়ত ভুল করে তৃণমূল কিংবা অন্য চিহ্নে ভোট দিয়ে ফেলেছেন, সেই কারণেই তারা চাইছেন পুনরায় অন্য দিন ভোট গ্রহণ হোক এই কেন্দ্রে ।
advertisement
তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একই সমস্যা তাদের হলেও সেক্টর অফিসারদের সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই তারা মাথা পেতে নেবেন। সাধারণ ভোটারদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের এত বিরোধী ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এত বড় ভুল কিভাবে হল। জানিয়ে সকাল থেকে দফায় দফায় তৃণমূল এবং সিপিআইএম এর মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে ভয় পাচ্ছে এই মুহূর্তে, তাই তারাও চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মাঝে আগামীতে ভোট দিতে পারেন তারা তবে আজ কখনই নয়।দুই প্রার্থী এজেন্ট এবং গ্রামের মানুষদের নিয়ে সেক্টর অফিসার দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন ।
আরও পড়ুন: ছাপ্পা প্রতিবাদ, গণতন্ত্র জলে! মুর্শিদাবাদে ভোটে একের পর এক কাণ্ড! জানুন
এলাকার সচেতন নাগরিকদের দাবি যদি কোন এলাকার ব্যালট ভুল করে এখানে চলে আসে তাহলে সেই এলাকায় কিভাবে শান্তিতে ভোট হচ্ছে! তারা আরও রোমহর্ষক দাবি করেছেন, ব্যালট যে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনের বেশি ছাপিয়েছেন সে বিষয়েও সন্দেহ নেই।সদুত্তর না মেলায়, শতাধিক ভোটার বিক্ষোভ শুরু করেন, ভোট কর্মীদের গ্রিলে তালা মেরে আটকে রাখে। এরপর জেলা পুলিশের এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকার সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেন।এ বিষয়ে, ভোট কর্মী থেকে শুরু করে, সেক্টর অফিসার, কেউই মুখ খোলেননি। তবে একেবারে দিনের প্রায় শেষের দিকে, তারা পুনরায় ভোট প্রদানের ব্যবস্থা চালু করেন, ওই এলাকার সিপিআইএম প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে।
আরও পড়ুন:
যদিও ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থক আলোচনায় কোনো ইতিবাচক দিক দেখতে না পেয়ে, পরিস্থিতি মেনে নিতে বাধ্য হন। যদিও, সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, আরবান্দি দু’নম্বর অঞ্চলেরই পার্শ্ববর্তী একটি বুথের, ব্যালট ভুল করে, এই কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং সেই পরিমাণ নাকি মাত্র সাতটি। যদিও এই সাতটি ব্যালট পেপার, যদি পাশের কেন্দ্রের সাথে পাল্টে গিয়ে থাকে , তাহলে সেখানে কোন সমস্যা হল না কেন! ভোটার সংখ্যা থেকেও কি বেশি ব্যালট ছাপা হয়েছে? প্রিসাইডিং অফিসার সেক্টর অফিসার বিডিও থেকে নির্বাচন কমিশনের নদীয়ার আধিকারিক সকলেই মুখে কুলুপ এটেছেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সময়ে সাধারণ ভোটারদের হাতে যে ব্যালট গুলি ঘুরে বেড়াচ্ছিল সেগুলোই বা কোথায় গেলো!
মৈনাক দেবনাথ